ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সঠিক নেতৃত্বের কারণে দেশে করোনা মহামারিতে রূপ নেয়নি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
সঠিক নেতৃত্বের কারণে দেশে করোনা মহামারিতে রূপ নেয়নি

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্ব ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশে করোনা মহামারিতে রূপ নিতে পারেনি বলে দাবি করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ।
সোমবার (২০ সেপ্টম্বর) দিনাজপুরের বেঁচাগঞ্জে সনকাই উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন উদ্বোধনের পর সুধী সমাবেশে এমন দাবি করেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কিছু মানুষ আছে, যারা সূর্য অস্ত যাওয়ার আগেই বলে দেয় আজ সূর্য ওঠে নাই। ২০২০ সালের মার্চে দেশে যখন করোনা আসলো, তখন বলা হলো বাংলাদেশে দুই কোটি মানুষ মারা যাবে। মানে দুই কোটি মানুষ মারা যেলে মনে হয় সবাই খুশি। যারা বিরোধী রাজনীতি করে, তারা মনে করে দুই কোটি মানুষ মারা গেলে শেখ হাসিনা সরকারকে ফেলে দেয়া যাবে। শেখ হাসিনা সরকার আর থাকতে পারবে না। ওদের কল্পনা বাস্তব হয়নি। যারা এ ধরনের আশঙ্কা করেছিলো, সঠিক নেতৃত্বের কারণে তা বাস্তব হয়নি। দেশ সঠিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে ।

তিনি বলেন, এই করোনার মধ্যেও আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করেছি। বাংলাদেশ নিরাপদ ছিল বলেই প্রতিবেশী সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা বাংলাদেশে এসেছেন। করেনার দেড় বছরে দেশের উন্নয়ন বন্ধ থাকেনি। উন্নয়ন প্রকল্পের বিদেশি কারিগরী কর্মকর্তারা বাংলাদেশে আসছেন। আমাদের পদ্মাসেতুর কাজ একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি। হলি আর্টিজানে ১২ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। তারপরও মেট্রোরেলের কাজ বন্ধ হয়নি। করোনার মধ্যেও বন্ধ হয় নাই। অলরেডি মেট্রোরেলের ট্রায়াল হয়ে গেছে। করোনার মধ্যে কর্ণফুলী টানেল বন্ধ হয়নি, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের কাজ চলছে, আমাদের পায়রা, মোংলা এবং চট্টগ্রাম বন্দরে করোনার মধ্যেও কাজ চলমান আছে। একদিনের জন্যও আমাদের বন্দরগুলো বন্ধ হয়নি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির জন্য পৃথিবী প্রস্তুত ছিল না। সারা পৃথিবী মুখ থুবড়ে পড়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ কিন্তু মুখ থুবড়ে পড়েনি। আমাদের সর্বোচ্চ ৬০০০ আক্রান্ত ও সর্বোচ্চ মৃত্যু ২০০ ছাড়িয়েছে। কিন্তু অন্যান্য দেশে একদিনে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে। একই কবরের মধ্যে শত শত মানুষকে দাফন করতে হয়েছে। বাংলাদেশে কেউ বলতে পারবে না, একজন সনাতন ধর্মের মানুষকে মাটিচাঁপা দেওয়া হয়েছে। মুসলমানদের এক কবরে একসঙ্গে ১০ জনকে দাফন করা হয়েছে। সম্পূর্ণ ধর্মীয় শিষ্টাচার মেনেই দাফন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ নারী অগ্রগতিতে সারা বিশ্বে অনুকরণীয়। আমরা রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এজন্য পুরস্কৃতও হয়েছি। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর নারীদের অন্ধকারে ঠেলে দেয়া হয়েছিলো। ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নারী জাগরণের মাইলফলক সূচিত হয়। ইউনিয়ন পরিষদে আগে নারীদের অংশগ্রহণ ছিলো না। শেখ হাসিনা বৃহত্তর ওয়ার্ডে নারী প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিলেন। এটাই ছিল নারী অগ্রগতির ভিত্তি। নারী শিক্ষা, নারীদের উন্নয়ন ও অগ্রগতির একক কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

এছাড়া প্রতিমন্ত্রী উপজেলার বাতাসন দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্প্রসারিত একাডেমিক ভবন উদ্বোধন, বকুলতলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, মোল্লাপাড়া দাখিল মাদরাসার একাডেমিক ভবন ও হাটরামপুর সার্বজনীন দুর্গামন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এসব অনুষ্ঠানে বেঁচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছন্দা পাল, নির্বাহী প্রকৌশলী শাহীনুর ইসলাম, বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু সৈয়দ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফছার আলী, সেতাবগঞ্জ পৌর মেয়র মো. আসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময় ১৭২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
এসকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।