ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

১ মাসেও অপসারণ হয়নি ভেঙে পড়া ব্রিজ, চলাচল ব্যাহত-দুর্ভোগ

এস এস শোহান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
১ মাসেও অপসারণ হয়নি ভেঙে পড়া ব্রিজ, চলাচল ব্যাহত-দুর্ভোগ রায়েন্দা খালে ভেঙে পড়ে আছে ব্রিজের একাংশ। ছবি: বাংলানিউজ

বাগেরহাট: লোহার পিলার ভেঙে এক মাস ধরে পড়ে আছে বাগেরহাটের শরণখোলায় রায়েন্দা খালে নির্মিত ব্রিজের একাংশ। ফলে বন্ধ রয়েছে ব্রিজটি দিয়ে যানবাহনসহ স্থানীয়দের চলাচল।

একইসঙ্গে খালটি দিয়ে ব্যাহত হচ্ছে নৌযান চলাচলও। খালের মধ্যে ভেঙে পড়ার এক মাসে অপসারণ তৎপরতা শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত ব্রিজটি অপসারণসহ নতুন সেতু নির্মাণ করে জনদুর্ভোগ কমানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় ব্যবসায়ী অহিদুজ্জামান ডালিম বাংলানিউজকে বলেন, রায়েন্দা খালে নির্মিত ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় এ রুটের চলাচলকারীদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া খালটির পাশে রয়েছে একটি খাদ্য গুদাম। যে গুদামে খালটি দিয়েই নৌকা বা ট্রলারে মালামাল নেওয়া হয়। কিন্তু ব্রিজটি ভেঙে খালে পড়ে থাকায় নৌযান চালচল ব্যাহত হচ্ছে।  

ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ ছত্তার বয়াতি বলেন, খোন্তাকাটা ইউনিয়নের হাজার হাজার লোক উপজেলা সদরের স্কুল-কলেজ, থানা, মাদরাসা, হাসপাতালে যাওয়ার জন্য রায়েন্দা খালের ব্রিজটি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ব্রিজটি ভেঙে এক মাস ধরে এভাবে খালে পড়ে আছে, সংস্কার তো দূরের কথা কেউ অপসারণের উদ্যোগও নেয়নি।  



ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম বলেন, রায়েন্দা খাল দিয়ে মালবোঝাই ট্রলার, নৌকা, যাত্রীবাহী ট্রলারও চলাচল করে। ভাঙা ব্রিজের কারণে এসব নৌযান চলাচলে খুবই সমস্যা হচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

মোহাম্মাদ রনি, সোহেল বয়াতি, জামাল ফকির, আলী মীরসহ কয়েকজন বাংলানিউজকে জানান, এক মাস হলেও ভাঙা ব্রিজ অপসারণের জন্য কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতায় হতবাক সবাই। গুরুত্বপূর্ণ এ ব্রিজটি অপসারণ করে দ্রুত নতুন ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান তারা।

রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আছাদুজ্জামান মিলন বাংলানিউজকে বলেন, ভাঙা ব্রিজটি অপসারণ করে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা খুবই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। আমরা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা ব্রিজটি অপসারণের আশ্বাস দিয়েছেন।



এ বিষয়ে এলজিইডি বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ভেঙে পড়া ব্রিজটি অপসারণের জন্য নিলামে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। স্থানীয়দের চলাচলের সুবিধার জন্য আমরা কয়েক বছর আগে একটি বিকল্প সেতুও নির্মাণ করে দিয়েছি। এছাড়া এখানে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে।

এদিকে ব্রিজটি অপসারণের এলজিইডিকে একাধিকবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাতুনে জান্নাত।

গত ১৬ আগস্ট গভীর রাতে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা খালের নির্মিত ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। এরপর থেকে এ পর্যন্ত (১৬ সেপ্টেম্বর) ব্রিজটি খালের মধ্যে পড়ে আছে। এর আগে গত বছর ব্রিজটি একদিকে হেলে পড়েছিল। তখন সংস্কার করে সাময়িক চলাচলের ব্যবস্থা করেছিল এলজিইডি। ২৫ বছর আগে ১৯৯৬ সালে খোন্তাকাটা ইউনিয়ন ও রায়েন্দা ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করার জন্য লোহার পিলার ও সাদা সিমেন্টের (আরসিসি) ঢালাইয়ে এ ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।