ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেলের বাসায় অভিযান ও তাকে গ্রেফতারের পর ইভ্যালির ধানমন্ডির কার্যালয়ে এসেছিল র্যাব সদস্যরা। এ সময় ইভ্যালি কার্যালয়ে তারা ১০ মিনিট মতো অবস্থান করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে র্যাবের একটি টিম ইভ্যালির কার্যালয়ে ঢোকে। সেখানে তারা মিনিট দশেক মতো অবস্থান করার পর বের হয়ে আসে। এরপর তারা ইভ্যালি কার্যালয় ত্যাগ করে। এ সময় র্যাবের এই টিমে ৬৫-৭০ জন সদস্য ছিল বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ইভ্যালির পক্ষ থেকে এবিষয়ে কারো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বিল্ডিংয়ের সিকিউরিটি গার্ডরা জানিয়েছেন, ইভ্যালির কার্যালয়ে এখন কেউ নেই। সবাই চলে গেছে, অফিস আজকের মতো বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেলের বাসায় অভিযান ও তাকে গ্রেফতারের খবর শুনে ইভ্যালির অনেক গ্রাহকই ভিড় জমান ইভ্যালির কার্যালয়ের সামনে।
তানভীর আহমেদ নামে একজন গ্রাহক বলেন, আমার ৮০ হাজার টাকার গ্রোসারিজ আইটেম এবং একটা বাইকের অর্ডার ছিল। একটু আগে দেখলাম ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল গ্রেফতার হয়েছেন। তাই এখানে দেখতে এলাম, জানি না এখন কী হবে!
হাসান নামে আরও একজন বলেন, আমি ধার করে টাকা নিয়ে একটা বাইকের অর্ডার করেছিলাম। কিন্তু তারপর এখনো বাইক পাইনি। এখন পর্যন্ত ঝুলে রয়েছে। এখন আমার বেতনের টাকা দিয়ে ধার পরিশোধ করতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা সকলেই খুব চিন্তিত। আজকে আবার রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানি না এরপর কি হবে। আমরা আমাদের পণ্য অথবা টাকাগুলো ফেরত পাব কিনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
এইচএমএস/এসআইএস