ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘বঙ্গবন্ধু খুনের পেছনে কারা ছিল সেটাও আবিষ্কার হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০২১
‘বঙ্গবন্ধু খুনের পেছনে কারা ছিল সেটাও আবিষ্কার হবে’

ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা ছিল তা একদিন আবিষ্কার হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১ আগস্ট) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে কৃষক লীগ আয়োজিত ‘স্বেচ্ছায় রক্ত ও প্লাজমা দান কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।



বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, এই ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা সেটা এখনো আবিষ্কার হয়নি। তবে, সেটা একদিন না একদিন আবিষ্কার হবে, এটা ঠিক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ যাতে মাথা তুলে না দাঁড়াতে পারে সেজন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে, আমার এটিই অবাক লাগে এর সঙ্গে আমাদের যারা তারা কী করে জড়িত থাকলো। হত্যার বিচার করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার একটাই কাজ। একটা ছিল প্রত্যক্ষভাবে যারা হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার করা। সব থেকে বড় কাজ হলো এ দেশটাকে নিয়ে, এ মানুষগুলোকে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, দেশের মানুষের উন্নয়ন করার, সেই উন্নয়ন করাটাকে আমি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছি। পেছনে কে ষড়যন্ত্র করেছে, সেদিকে আমি না গিয়ে, আমার প্রথম কাজ হচ্ছে এই ক্ষুধার্ত-দারিদ্র মানুষগুলোর ভাগ্য পরিবর্তন করে, তাদের জীবনমান উন্নত করা।

আরও পড়ুন>> এক সময় রক্তদান করতাম: প্রধানমন্ত্রী

জাতির পিতা স্বপ্ন একে একে বাস্তবায়ন করছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব হারিয়েছি বাবা-মা, ভাই। কিন্তু একটা আদর্শকে নিয়েই পথ চলি; এটাই আমার শক্তি।  যে স্বপ্নটা আমার বাবা দেখেছেন ছোটবেলা থেকে তার মুখে যে কথা শুনেছি সেটাকে আমার বাস্তবায়ন করতে হবে। এর বাইরে আর কোন চাওয়া পাওয়া নেই। শুধু বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি দেখতে চাই। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন দেখতে চাই।

‘বাংলাদেশ ক্ষুধা দারিদ্র থেকে মুক্তি পেয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে গড়ে উঠবে, বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে, মর্যাদা নিয়ে চলবে। সম্মানের সঙ্গে চলবে। শুধু এটাই চাই। ’

টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ এ আমরা যখন সরকার গঠন করলাম, তখন থেকে আমাদের প্রচেষ্টা ছিল, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং যে রূপকল্প আমরা দিয়েছিলাম ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করবো। জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের যে উন্নয়নের গতিধারাটা এটা হয়তো আমরা অব্যহত রাখতে পারতাম, যদি করোনা না হতো, এই মহামারিটা না দেখা দিতো। এটা শুধু আমাদের না, আজকে বিশ্বব্যাপীই আজকে অর্থনৈতিক মন্দা, মানুষের ভোগান্তি, আমরাও মুক্ত না। তবুও আমরা আমাদের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা আমাদের যে স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, যে আর্দশ শিক্ষা দিয়ে গেছেন। তিনি তো এটাই চেয়েছিলেন তার দল মানুষের পাশে থাকবে, দুর্যোগে মানুষের সঙ্গে থাকবে। মানুষের কল্যাণে কাজ করবে।

আসন্ন ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে ধানমন্ডির জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর সংলগ্ন এলাকায় বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত ‘স্বেচ্ছায় রক্ত ও প্লাজমা দান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

এ সময় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর প্রান্তের অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষক লীগ সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দ, সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০২১
এমইউএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।