ঢাকা, শনিবার, ১৬ চৈত্র ১৪৩০, ৩০ মার্চ ২০২৪, ১৯ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনের ঢাকা 

মহসিন হোসেন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২১
কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনের ঢাকা 

ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে কঠোরতম লকডাউন। এই লকডাউন চলবে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত।

শনিবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আগের যেকোনো লকডাউনের তুলনায় এবারের লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

রাজধানীর সড়কগুলোতে কিছু দূর পর পর দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড। কোথাও পুলিশ দাঁড়িয়ে গাড়ি থামিয়ে চেক করছে। জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়া মানুষজনকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আবার যারা উপযুক্ত প্রমাণ হাজির করতে পারছেন না, তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে যেদিক থেকে এসেছেন সেদিকে। প্রধান সড়কে যেমন যানবাহন চলাচল করছে না তেমনি অলিগলিতেও রিকশা ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি।

সকাল ৯টায় মগবাজার, মধুবাগ, হাতিরঝিল হয়ে তেজগাঁও লাভ রোড এলাকার সড়ক পুরোই ফাঁকা দেখা যায়। সাড়ে ৯টায় তেজগাঁও রেলওয়ে ওভারপাস পার হয়ে বিজয় সরণি ক্রসিংয়ে গিয়ে কিছু প্রাইভেট কার চলতে দেখা গেলেও তা ছিল খুবই সামান্য। তবে এর মধ্যে সরকারি সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়িই বেশি লক্ষ্য করা যায়। গাড়ির সংখ্যা তেমন না থাকায় বিজয় সরণি ক্রসিংয়ে ট্রাফিক সার্জেন্ট ও পুলিশের তখনও কর্মতৎপরতার প্রয়োজন হয়নি।

পৌনে দশটার দিকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে একটি পুলিশ চেকপোস্ট দেখা যায়। সেখানে কয়েকজন পুলিশ সদস্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে চেক করার মতো কোনো গাড়ি ওই সড়কে ছিল না। কয়েকটি রিকশা থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের।

সকাল দশটায় পুনরায় বিজয় সরণি ক্রসিং হয়ে জাহাঙ্গীর গেট, মহাখালী ফ্লাইওভার, বনানী চেয়ারম্যানবাড়ি, কাকলী ক্রসিং সব জায়গায় দুই-একটি প্রাইভেট কার ছাড়া অন্য যানবাহন চোখে পড়েনি। একই অবস্থা দেখা যায় বিমানবন্দর সড়কের কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত। সেখান থেকে প্রগতি সরণি ধরে যমুনা ফিউচার পার্ক, গুলশান নতুন বাজার ক্রসিং, শাহজাদপুর, উত্তর বাড্ডা, মধ্যবাড্ডা, মেরুল বাড্ডা, রামপুরা ব্রিজ, রামপুরা টিভি গেট, রামপুরা বাজার, হাজিপাড়া হয়ে আবুল হোটেল ক্রসিং, মৌচাক পর্যন্ত সড়কে যানবাহনের চলাচল সীমিতই দেখা গেছে।

এ সময় থেমে থেমে বৃষ্টির কারণেও রাস্তার দুই পাশে জনসাধারণের চলাচল ছিল না বললেই চলে। দুই পাশের শপিংমল, দোকানপাট সবই বন্ধ দেখা যায়। তবে কিছু ওষুধের ফার্মেসি খোলা ছিল। রামপুরা কাঁচাবাজারেও ক্রেতা বিক্রেতার সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক কম দেখা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২১
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।