ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জুলাই-আগস্টে ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’ ফের চালু করতে পারে ভারত

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২১
জুলাই-আগস্টে ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’ ফের চালু করতে পারে ভারত

ঢাকা: আগামী জুলাই-আগস্ট মাসে ভারতের মোদী সরকার ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’ পুনরায় চালু করতে পারে। তবে এই উদ্যোগ সীমাবদ্ধ থাকতে পারে শুধু আশপাশের দেশগুলোর।

 

বুধবার (২৩ জুন) ভারতের প্রিন্টইন পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

মোদী সরকারের জুলাই-আগস্টে প্রতিবেশী দেশে ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’ পুনরায় চালুর পরিকল্পনা’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ভারত ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’ নামে ২০ জানুয়ারি থেকে বিদেশে কোভিড টিকা পাঠানো শুরু করে। তবে ভারতে ঘাটতির মধ্যে ভ্যাকসিন মৈত্রী এপ্রিলে বন্ধ হয়ে যায়।

ভারতীয় দূতরা আশপাশের দেশগুলোকে নিয়মিত আশ্বাস দিচ্ছে যে এপ্রিল মাসে স্থগিত হওয়া ভ্যাকসিন সরবরাহ পুনরায় শুরু করতে আগ্রহী নয়াদিল্লি। তবে এখন দেশীয় টিকার চাহিদাকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় মাস লেগে যেতে পারে।

দেশের অভ্যন্তরে টিকা উৎপাদন ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপাল যেসব টিকা কিনেছিল, সেটা এখন স্থগিত রয়েছে। তবে জুলাইয়ের শেষ বা আগস্টে এসব টিকা পুনরায় দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে ভারত।

ভারত থেকে অনুদান হিসেবে ভুটানকে টিকা সরবরাহে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’ নামে চলতি বছর ২০ জানুয়ারি থেকে বিশ্বের বৃহত্তম কোভিশিল্ড টিকা উৎপাদক দেশ ভারত অনুদানের পাশাপাশি বাণিজ্যিক চালান বিদেশে পাঠানো শুরু করে। তবে ভারত যখন স্থানীয়ভাবে এই টিকার ঘাটতির মুখোমুখি হতে শুরু করে তখন এপ্রিল মাসে ভ্যাকসিন মৈত্রী উদ্যোগ থেমে যায়। তবে তার আগেই ভারত ৬৬ মিলিয়নের বেশি ডোজ টিকা বিদেশে পাঠায়।

ভারতীয় টিকা উদ্যোগ স্থগিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চীন ও রাশিয়া থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো তাদের কোভিড টিকা ঘাটতি মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেয়। ঘরোয়া সংকট মোকাবিলায় ভারত কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে দেশে সরকারিভাবে টিকা সরবরাহ শুরু করে।  

সূত্র জানায়, সোমবার পর্যন্ত টিকা দেওয়ার যে ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে, সরকার প্রত্যাশা করে যে জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ আগস্টের মধ্যেই টিকা পেয়ে যাবে। তখন পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে। সে সময় প্রতিবেশী দেশে টিকার চালান আবার চালু হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ২২০২ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২১
টিআর/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।