ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যশোরে ‌‌‘লকডাউন’ বাড়লো আরও এক সপ্তাহ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৫ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২১
যশোরে ‌‌‘লকডাউন’ বাড়লো আরও এক সপ্তাহ

যশোর: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় যশোরে চলমান ‘লকডাউন’ বা বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে।  

আগামী বুধবার (২৩ জুন) থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত প্রশাসন আরও কঠোর অবস্থানে থাকবে বলে করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ জুন) যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান এ এক সপ্তাহ সর্বাত্মক ‘লকডাউন’ প্রতিপালনের জন্য নতুন করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।  

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৯ জুন থেকে যশোর পৌর এলাকা ও নওয়াপাড়া পৌরসভা এলাকায় কঠোর ‘লকডাউন’ আরোপ করে প্রশাসন। এর পরে যশোর পৌরসভার লাগুয়া উপশহর, নওয়াপাড়া, আরবপুর ও চাঁচড়া ইউনিয়ন, ঝিকরগাছা সদর, বেনাপোল পৌরসভা, কেশবপুর পৌরসভায় এ কঠোর ‘লকডাউন’ জারি করে। তাতেও জেলায় করোনা সংক্রমণের হার লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় যশোরে ৩০ জুন পর্যন্ত চলমান ‘লকডাউন’ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। এবারে এক সপ্তাহ সর্বাত্মক ‘লকডাউন’র মধ্যে কাঁচাবাজার, মাছ বাজার, ফুল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। একইসঙ্গে সব প্রকার দোকানপাট, শপিংমল, হোটেল, রেস্তোরাঁ, চায়ের দোকান, বিপণিবিতান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা রাখা যাবে।  

এছাড়া জেলার অভ্যন্তরীণ সব রুটে বাস চলাচল, গণপরিবহন ও ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে সিএনজি, রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, থ্রি হুইলারসহ সব যান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে রোগী ও জরুরি পরিবহন সেবা চালু থাকবে। মসজিদে প্রতি নামাজের ওয়াক্তে ইমাম, মোয়াজ্জিন ও খাদেমসহ ৫ জন ও জুমার নামাজে ২০ জন মুসল্লির বেশি অংশ নিতে পারবেন না। মাস্ক পরিধান ও বাইরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ অন্য সব নির্দেশনা বলবত থাকবে।  

যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, যশোরে ১৫ দিনের ‘লকডাউন’ কার্যকর করেও করোনা সংক্রমণের গতি কমানো যায়নি। এ কারণে আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে এবার সর্বাত্মক ‘লকডাউন’ প্রতিপালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৩০ জুন পর্যন্ত আরও কঠোর অবস্থানে থাকবে প্রশাসন।  

এদিকে যশোরে প্রতিদিনই করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। যশোর জেনারেল হাসপাতালে করোনা ইউনিট ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে কোনো শয্যা খালি নেই। এমনকি মেঝেতেও কোনো জায়গা নেই।  

যশোর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এ হাসপাতালের রেড ও ইয়েলো জোন মিলিয়ে শয্যা রয়েছে ১০৭টি। সেখানে রোগী ভর্তি আছেন ১৩৮ জন।
 
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আরিফ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর চাপ সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। রোগীর এত চাপ যে শয্যা দেওয়া যাচ্ছে না। এমনকি ওয়ার্ডের মেঝেতেও জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫২ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২১
ইউজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।