ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মাগুরার চাঞ্চল্যকর আজিজুর হত্যারহস্য উদঘাটন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২১
মাগুরার চাঞ্চল্যকর আজিজুর হত্যারহস্য উদঘাটন ...

মাগুরা: মাগুরার মহম্মদপুরে কালুকান্দি গ্রামে নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার আজিজুর রহমানের (৩০) বিছিন্ন মাথা ও একটি পা সোমবার (১৪ জুন) বিকেলে মাগুরা সদরের জগদল এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে।

র‍্যাব খুলনার অধিনায়ক লে. কর্ণেল রওশনুল ফিরোজের নের্তৃত্বে র‍্যাব-৬ এর একটি দল সোমবার বিকেলে ওই এলাকার একটি কালভার্টের ভেতর থেকে এগুলো উদ্ধার করে।

রওশনুল ফিরোজ জানান, হত্যাকান্ডের মুল আসামী আশরাফ হোসেনকে সোমবার সকালে গ্রেফতার করা হয়। সে এ বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিলে সে মোতাবেক জগদলের ওই এলাকা থেকে নিহত আজিজুরের মাথা ও পা উদ্ধার করা হয়।

নিহত আজিজুর মাগুরা সদর উপজেলার সংকোচখালি গ্রামের মৃত মুজিবুর রহমানের ছেলে। ছোটবেলায় তার বাবা মা মারার যাওয়ার পর থেকেই বিনোদপুর ইউনিয়নের কালুকান্দি গ্রামে তার নানা আবুল কাশেমের বাড়িতে থেকে বড় হয়েছে।

আজিজুর ঢাকার একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। গত ৫ জুন তিনি সকালে বাসা থেকে যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে নিখোঁজ হন। পরে ৬ জুন সকালে কালুকান্দি গ্রামের মতিয়ার মোল্লার পুকুরে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত একটি বস্তা দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বস্তাটি উদ্ধার করলে তার ভেতর মাথা ও একটি পা বিহীন মরদেহ পাওয়া যায়। পরে মরদেহের পরিহিত পোষাক দেখে এটি আজিজুরের মরদেহ বলে দাবি করে তার ছোট ভাই হাবিবুর রহমান।

ওই দিন হাবিবুর মহম্মদপুর থানায় বাদী হয়ে হত্যা ও আলামত গোপনের অভিযোগের একটি মামলা দায়ের করে। পরে আসামী গ্রেফতারসহ বিচ্ছিন্ন মাথা ও পায়ের সন্ধানে নামে যশোর র‍্যাব। পাশাপাশি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোরের শার্শা থেকে  সোমবার দুপুরে আজিজুরের খুনি আশরাফকে গ্রেফতার করে। এ সময় সে র‍্যাবের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জগদলের ওই এলাকা থেকে নিহত আজিজুরের দেহের খণ্ডিত মাথা ও একটি পা উদ্ধার করে র‍্যাব।

র‍্যাব কর্মকর্তা রওশনুল ফিরোজ এ বিষয়ে আরো জানান, আশরাফ সদর উপজেলার মালিকগ্রামের আহম্মদ আলী বিশ্বাসের ছেলে। মাগুরা শহরের বেলতলায় তার হোমিওপ্যাথির ব্যবসা আছে। পাশাপাশি সে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং এমএলএম ব্যবসা করেন। এই ব্যবসার সূত্রেই আজিজুরের সঙ্গে তার সম্পর্ক। আশরাফ আজিজুরের কাছে ব্যবসায়ীক তিন হাজার টাকা পেত। কিন্তু আজিজুর সেটি ৫০০ টাকা বলে দাবি করে আসছিল। এই বিরোধের জের ধরেই ৫ জুন আশরাফ আজিজুরকে নিজ হোমিও দোকানে ডেকে এনে হত্যা করে। পরে দেহ থেকে মাথা ও পা খণ্ডিত করে জগদলের ওই কালভার্টে ফেলে। দেহের বাকি অংশ বস্তাবন্দি করে আজিজুরের মামা বাড়ি মাগুরার মহম্মদপুরের কালুকান্দি একটি পুকুরে ফেলে আত্মগোপন করে।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৪ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।