ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রামুতে ব্যক্তিমালিকাধীন জমিতে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৩ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২১
রামুতে ব্যক্তিমালিকাধীন জমিতে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ সংবাদ সম্মেলন

কক্সবাজার: কক্সবাজারের রামুতে অধিগ্রহন ছাড়া এবং কোনো ধরনের অনুমতি না নিয়ে ব্যক্তিমালিকাধীন জমি উপর রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। জন্নেকার বেগম নামে এক (৯৫) বৃদ্ধা এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, আমি ঠিকমত হাঁটতে পারি না, কথা বলতে পারি না। মনে খুব দুঃখ নিয়ে অনেক কষ্ট করে সাংবাদিকদের কাছে এসেছি। আপনারা আমাকে বাঁচান।

মঙ্গলবার (২৫ মে) বিকেলে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিষয়টি তুলে ধরেন রামু উপজেলার ফতেখারকুল ইউনিয়নের পূর্ব মেরুংলোয়ার বাসিন্দা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মরহুম গোলাম শরীফের স্ত্রী জন্নেকার বেগম।  

এ সময় তার ছেলে কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।

জন্নেকার বেগম অভিযোগ করে বলেন, ১৯৭০ সালে প্রথম আওয়ামী লীগের জন্য অফিস করতে নিজের জমি দিয়েছিলেন তার স্বামী। যে কারণে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমার ১৫/২০ লাখ টাকার সম্পদ পুড়িয়ে দিয়েছিল রাজাকার বাহিনী। বর্তমানে আমি খুবই অসহায়, স্বামীর রেখে যাওয়া কিছু সহায় সম্পদ নিয়ে সন্তান সন্ততিসহ কোনোমতে সম্মানের সঙ্গে দিনযাপন করছি।

আমার স্বামীর নামে মেরুংলোয়া মৌজার বি এস ৬০ নম্বর খতিয়ানে মৌজা এজমালীতে চুড়ান্ত লিপি আছে। উনার মৃত্যুর পর যা আমার সন্তানদের নিয়ে ভোগ দখলে থেকে বসবাস করছি। এর মধ্যে একটি দাগ হচ্ছে বি এস ১৭৯৮ দাগ যা নাল শ্রেণির জমি। ওই দাগের পাশে বা খতিয়ানের মন্তব্য কলামে কিংবা সরেজমিনে রাস্তার কোনো কথা উল্লেখ নেই। এমনকি বিএস সিটে ও রাস্তা বা গোপাট হিসাবে লিপি নেই। যা সম্পূর্ণ আমাদের ব্যক্তিমালিকাধীন বসতবাড়ি। এতে হঠাৎ করে এলজিইডি অফিস কর্তৃক প্রকল্প তৈরি করে আমার জমিতে রাস্তা নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই কাজ তদারকির নামে আমার মূল্যবান জমি হাতিয়ে নিতে চাইছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী এবং রাজাকারের ছেলেরা।

বৃদ্ধ এই নারীর দাবি, সরকারের যদি উন্নয়ন কাজের জন্য জমি লাগে তাহলে আমার সঙ্গে কথা বলে সরকারি নিয়ম মাফিক অধিগ্রহন করে অথবা অন্য কোনোভাবে আমার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে নিতে হবে। এভাবে উন্নয়নের নামে মালিকানাধীন জমি দখল করা যায় কিনা, আমি প্রশাসনের কাছে বিচার চাই।

তিনি বলেন, সেই জমিতে আগে থেকে গোপাট আছে সেটা বাদ দিয়ে কিছু প্রভাবশালীর জমি রক্ষার করার জন্য এবং তাদের জমি দামি করার জন্য আমার জমিতে রাস্তা নির্মাণের পাঁয়তারা করছে। এই জমি চলে গেলে আমি পথে বসবো। আমার কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চাই।

এ অভিযোগের বিষেয়ে রামু উপজেলা প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোথায় ব্যক্তিমালিকাধীন জমিতে রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে সে বিষয়ে জানেন না বলে জানান। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের উনার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বলেন।

তবে এটাকে মিথ্যাচার দাবি করে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকের ছেলে রেজাউল করিম জানান, আমি নিজেই উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। উপজেলা প্রকৌশলীর অনুমতি বা অনুমোদন ছাড়া এতবড় কাজ কিভাবে হয়। তারপরও আমরা আবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করবো।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২১
এসবি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।