ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গরম ও অক্সিজেনের অভাবে ফেরির ৫ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৬ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২১
গরম ও অক্সিজেনের অভাবে ফেরির ৫ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে ...

মাদারীপুর: বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে ফেরিতে যাত্রী মারা যাওয়ার বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ফেরিতে প্রচণ্ড ভিড়, গরম, রোদের তাপ আর অক্সিজেনের অভাবে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (১২ মে) বিকেলে বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, যে লোকগুলো ফেরিতে মারা গেছেন, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করেছে। একটি ফেরি থেকে চার জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে দুজন পুরুষ ও দুজন নারী ছিলেন। এর আগেও একই কারণে আরেকটি ফেরিতে একটি ছেলে মারা গেছে। মরদেহগুলো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  

এছাড়াও গরমে, মানুষের ভিড়ে ও অক্সিজেনের ঘাটতি হওয়ায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।

ঘাট সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে আসে শাহ্ পরান নামে একটি ফেরি। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে পদদলিত হয়ে মাঝ পদ্মায় মারা যায় আনচুর মাদবর (১৫) নামে এক কিশোর। পরে ১টার দিকে শিমুলিয়া থেকে প্রায় তিন হাজার যাত্রী নিয়ে বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে ফেরি এনায়েতপুরী। অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে ওই ফেরিতে গাদাগাদির সৃষ্টি হয়। ফেরি থেকে নামতে গিয়ে যাত্রীদের চাপে ও পদদলিত হয়ে মারা যায় আরও চার জন। এ সময় আহত হয় অন্তত ২০ জন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা আহতদের মধ্যে ১২ জনকে উদ্ধার করে কাঁঠালবাড়িতে অস্থায়ী ক্যাম্প করে চিকিৎসা দেয়। এছাড়া তিন জনকে গুরুতর অবস্থায় শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বাকিদের পাঁচ্চর রয়েল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শশাঙ্ক ঘোষ বলেন, একসঙ্গে অনেকক্ষণ রোদে দাঁড়িয়ে থাকা ও অতিরিক্ত যাত্রীর চাপাচাপির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

নিহত পাঁচ জনের মধ্যে তিন জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কলিকাপ্রসাদ এলাকার মো. গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মো. আনচুর মাতুব্বর (১৫), মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আলামীন ব্যাপারীর স্ত্রী নিপা বেগম (৪৫) ও বরিশালের মুলাদি উপজেলার চরকালিখান এলাকার এছাহাক আকনের ছেলে নরুদ্দিন আকন (৪৬)।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন বলেন, নারীসহ পাঁচ জনের মৃত্যু গরম ও হিটস্ট্রোক থেকে হয়েছে। বাকি মরদেহগুলোর পরিচয় নিশ্চিতের কাজ চলছে। একজনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২২১২ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।