ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

স্ত্রী হত্যায় সম্পৃক্ততা সাবেক এসপি বাবুলের, বাদীই প্রধান আসামি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০১ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২১
স্ত্রী হত্যায় সম্পৃক্ততা সাবেক এসপি বাবুলের, বাদীই প্রধান আসামি

ঢাকা: স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পেয়েছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে নতুন করে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এরপর তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।

বুধবার (১২ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

বনজ কুমার মজুমদার জানান, মিতু হত্যার সঙ্গে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। মিতুর বাবা বাদী হয়ে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করবেন। মামলার এজাহার প্রস্তুত করা হয়েছে। মামলা হলে আজই বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখানো হবে।

এদিকে, মিতু হত্যকাণ্ডের ঘটনার পর দায়েরকৃত হত্যা মামলাটির ফাইনাল রিপোর্ট দেবে পিবিআই। যে মামলার বাদী ছিলেন মিতুর স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তার। ঘটনার তদন্তের ধারাবাহিকতায় বাদী বাবুলই এখন প্রধান আসামি।

এর আগে মঙ্গলবার (১১ মে) বাবুল আক্তারকে আগের মামলার বাদী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। আইন অনুযায়ী বাদীকে গ্রেফতার করা যায় না। নতুন মামলা হলে বাবুল আক্তার এক নম্বর আসামি হবেন, তারপর তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে বলেও জানান পিবিআই প্রধান।

মামলার তদন্ত সম্পর্কে বনজ কুমার বলেন, প্রথমে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা আসেনি। মহামান্য হাইকোর্ট জানতে চেয়েছেন কতোদিন ঝুলে থাকবে এ মামলা। কিছু নতুন প্রশ্ন আসে। সে উত্তর খুঁজতে গিয়ে মামলা অন্যদিকে মোড় নেয়।

এর আগে পিবিআই জানায়, বাবুল আক্তার মামলার বাদী, সে হিসেবে তিনি নিজেই চট্টগ্রামে গিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। এ ঘটনায় ঢাকায় অবস্থান করা মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার বাদী হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে নিজের জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

ঘটনার কয়েক দিন পরেই মামলার তদন্তে নতুন মোড় নেয়। একপর্যায়ে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার শ্বশুর মোশারফ হোসেন।

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানা পুলিশের পর চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও অভিযোগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্তের ভার পায় পিবিআই।

মিতু হত্যার পর বাবুল আক্তার প্রথমে ঢাকার মেরাদিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে উঠেছিলেন। ২০১৬ সালের ২৪ জুন বাবুল আক্তারকে ঢাকার ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে এনে প্রায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

পরে পুলিশ জানায়, বাবুল চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। পরে বাবুল আক্তার দাবি করেন, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি। পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের জন্য ৯ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে তিনি আবার আবেদন করেন।

পড়ুন এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ:

মিতু হত্যায় আসামি হলেন বাবুল আক্তার

পিবিআই হেফাজতে সাবেক এসপি বাবুল আক্তার

 

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২১
পিএম/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।