কক্সবাজার: পেট ব্যথার কারণে হাসপাতালে আনা কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের এক রোহিঙ্গা যুবকের পেটে অপারেশন করে পাওয়া গেলো এক হাজার ৯৫০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট।
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাতে চকরিয়ার ডুলাহাজারার মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিস্টান হাসপাতালে ওই রোহিঙ্গা যুবকের পেটে অপারেশন করা হয়।
পেটের ভেতরে ইয়াবা পেয়ে রীতিমতো অবাক হয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চকরিয়া থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ওই ইয়াবা জব্দ করে। চিকিৎসাধীন রোহিঙ্গা যুবকের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।
চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান বলেন, কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২ এবং এক নম্বর ব্লকের শরণার্থী মোহাম্মদ ইলিয়াছের ছেলে জাকির হোসেনকে (২২) পেট ব্যথা নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যার ক্যাম্পে কর্মরত বেসরকারি সংস্থা এমএসএফ এর প্রতিনিধিরা চকরিয়ার মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিস্টান হাসপাতালে আনেন।
এসময় পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলে প্রথমে আলট্রাসনোগ্রামসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। ফলাফলে পেটের ভেতর কোনো বস্তু থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হলে পেটে সিজারিয়ান অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। এই অপারেশনেই বের হয়ে আসে থলের বিড়াল।
এসআই মো. কামরুজ্জামান আরও জানান, অপারেশনের পর ওই রোহিঙ্গার পেটের ভেতরে পাওয়া যায় ইয়াবার ৩৯টি পোটলা। পরে সেসব পোটলা খুলে পাওয়া যায় ১ হাজার ৯৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট।
পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ইয়াবাগুলো জব্দ করে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, এই প্রথম কোনো মানুষের পেট সিজারিয়ান অপারেশন করে ইয়াবার পোটলা বের করা হলো। যদিওবা আগে পায়ুপথ দিয়ে ইয়াবা বের করার ঘটনা রয়েছে অনেক।
তিনি জানান, পুলিশ প্রহরায় ইয়াবা পাচারকারী রোহিঙ্গা নাগরিকের চিকিৎসা চলছে এবং তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।
পরবর্তীসময়ে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭,২০২১
এসবি/এএ