ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মৌলভীবাজারে বাজার চড়া, বালাই নেই স্বাস্থ্যবিধির

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২১
মৌলভীবাজারে বাজার চড়া, বালাই নেই স্বাস্থ্যবিধির মৌলভীবাজারের ভৈরবগঞ্জ বাজারের পরিস্থিতি। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: দেশব্যাপী চলছে সরকার ঘোষিত তৃতীয় দিনের লকডাউন। ১৩টি নির্দেশনার অন্যতম নিষেধাজ্ঞা কোনোক্রমেই ঘর থেকে বের না হওয়া।

কিন্তু মৌলভীবাজারে চলছে উল্টো চিত্র। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যও চড়া।

রোজা ও লকডাউন প্রভাবে মৌলভীবাজারের বাজারগুলোতে সবজি ও ফলমূলের দাম লাগামহীন।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মান ও বাজারভেদে বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা। গত সপ্তাহে বেশিরভাগ বাজারে বেগুনের কেজি ৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুনের দাম বেড়ে দ্বিগুণ ছাড়িয়ে গেছে। শুধু বেগুনই নয়, দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে শসা, পটল, বরবটি, শিম, ঢ়েঁড়স, টমেটোসহ অন্যান্য সবজিও।

পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৬০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বরবটির দাম বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকা হয়েছে। ঢ়েঁড়সের কেজিও বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ৩০ টাকা কেজিতে নেমে আসা শিমের কেজি আবার ৬০ টাকায় উঠেছে। ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস বিক্রি হওয়া লাউয়ের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ধুন্দুলের দাম বেড়ে ৬০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

সবজির দাম নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে এক ক্রেতা বলেন, রোজা আর লকডাউনকে হাতিয়ার করে ব্যবসায়ীরা সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এই মহামারির মধ্যেও ব্যবসায়ীরা এই অনৈতিক কাজ করছেন। বাজারে কারো কোনো তদারকি নেই। এ কারণে মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের উচিত দ্রুত বাজার তদারকিতে নামা। তা না হলে কষ্টে থাকা মানুষগুলোর কষ্ট আরও কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।

অন্যদিকে, সরকার কিছু পণ্যের দাম বেঁধে দিলেও সেই দামে কোথাও পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে নির্ধারিত আয়ের মানুষ পড়েছেন চরম বিপদে। বাজারে শুধু গরুর মাংস বেঁধে দেওয়া দাম কেজি প্রতি ৬০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। নির্ধারিত দাম অনুয়ায়ী খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম হবে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা, চিনি ৬৭ থেকে ৬৮ টাকা, ছোলা ৬৩ থেকে ৬৭ টাকা, মসুর ডাল উন্নতমানের হলে দাম হবে ৯৭ থেকে ১০৩ টাকা ও সাধারণ মোটা মসুর হলে ৬১ থেকে ৬৫ টাকা, খেজুর সাধারণ মানের ৮০ থেকে ১০০ টাকা এবং মধ্যম মানের ২০০ থেকে ২৫০ টাকা এবং সয়াবিন তেল লিটারে ১৩৯ টাকা। তবে এর মধ্যে পেঁয়াজ ছাড়া অন্যান্য সব পণ্যই বাড়তি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, সবজির দাম এমনিতেই বাড়ছিল। রোজা আর লকডাউনের কারণে দাম আরও বেড়েছে।

গত বছর যে তরমুজ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল সেই তরমুজ এবার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২১
বিবিবি/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad