ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লকডাউনে ন্যায্যমূল্যে ভ্রাম্যমাণ ডিম-দুধ-মুরগি বিক্রি শুরু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২১
লকডাউনে ন্যায্যমূল্যে ভ্রাম্যমাণ ডিম-দুধ-মুরগি বিক্রি শুরু

লালমনিরহাট: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনে ভোক্তাদের দোর গোড়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে দুধ, ডিম ও মুরগি ন্যায্যমূল্যে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

সোমবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে দেশে প্রথমবারের মতো লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

আদিতমারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খামারে উৎপাদিত দুধ, ডিম ও মুরগি বাজারের তুলনায় দাম অনেক কম। কিছু মধ্যসত্বভোগী ফরিয়া খামারে এসব পণ্য কম দামে ক্রয় করে বাজারে বেশি দামে বিক্রি করে। যার কারণে ক্রেতারা বেশি দামে ক্রয় করলেও খামারিরা লাভবান হচ্ছেন না।  

এছাড়াও করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনে ঘরের বাইরে না যেতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। লকডাউন হলেও নিত্যপণ্য হিসেবে দুধ, ডিম ও মুরগির চাহিদা রয়েছে। তাই খামারি মালিক সমিতির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে ভ্রাম্যমাণ পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ পণ্য বিক্রিতে পরিবহন চার্জের ৫০ শতাংশ সরকারিভাবে প্রাণিসম্পদ বিভাগ বহন করবে। বাকি ৫০ শতাংশ খামার মালিক সমিতি বহন করবে।

এতে বাজারের তুলনায় অনেক কম দামে ও গুনগত মানসম্পন্ন এসব পণ্য ভ্রাম্যমাণ গাড়ি থেকে সব শ্রেণির ভোক্তা ন্যায্যমূল্যে ক্রয় করার সুযোগ পাবেন। এতে ভোক্তা ও খামারি দুই পক্ষই সুফল পাবেন। বিক্রির নিশ্চয়তা পেলে খামারের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। একইসঙ্গে লকডাউনে বাইরে না গিয়ে বাড়িতে থেকেই প্রয়োজনীয় বাজার পেয়ে যাবেন সাধারণ মানুষ।

খামারে পাইকারি মূল্যের চেয়ে ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে ডিম হালি প্রতি ২ টাকা, দুধ লিটার প্রতি ২/৩ টাকা ও মুরগি কেজি প্রতি ২/৩ টাকা পরিবহন খরচ হিসেবে বাড়বে। তবে বাজার ওঠা-নামায় গাড়িতেও পণ্যের মূল্য কম বেশি হবে। প্রতিদিন সকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ এসব পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে মূল্য চার্ট দেবে। যা দেখে ক্রেতারা ন্যায্যমূল্যে ক্রয় করবেন এসব পণ্য। এসব ভ্রাম্যমাণ পণ্য বিক্রির গাড়ি উপজেলার প্রতিটি গ্রাম ও শহরে ভ্রমণ করবে। যা পর্যাক্রমে সব এলাকায় ভ্রমণ করবে। এভাবে ক্রেতারা ২/৩ দিনের পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। আবার ২/৩ দিন একই এলাকায় পৌঁছাবে ভ্রাম্যমাণ এ গাড়ি।

প্রথমদিকে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের জন্য ৬টি ভ্রাম্যমাণ গাড়ি প্রস্তুত করা হয়েছে। যা ক্রমে বাড়ানো হবে। উপজেলার সব খামারি ভ্রাম্যমাণ পণ্য বিক্রিতে অংশ নিতে পারবেন। খামারিরা প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করে নতুন গাড়ি বা পূর্বে নির্ধারিত গাড়িতে তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। এজন্য খামারিদের প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করতে আহ্বান জানান উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মোশারফ হোসেন।

আদিতমারী উপজেলা পরিষদ চত্বরে ভ্রাম্যমাণ দুধ, ডিম ও মুরগি বিক্রির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মোশারফ হোসেন, কৃষি অফিসার আলীনুর রহমান, ভেটেরিনারি সার্জন ডা. এআরএম আল মামুন ও জেলা খামার মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আয়নাল হক।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২১
আরএ/এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ