ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লকডাউনে সীমিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখার সুপারিশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২১
লকডাউনে সীমিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখার সুপারিশ

ঢাকা: দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। গত বছরের লকডাউন সাধারণ মানুষের আর্থিক পরিস্থিতি ও জীবিকার ওপর ঋণের প্রভাব ফেলেছিল।

এ সংকট এখনো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি।  

বর্তমানে করোনা সংক্রমণের হার কমানোর জন্য কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার ভারসাম্য বজায় রাখাও এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই লকডাউনে সীমিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখার সুপারিশ সংশ্লিষ্টদের।

সোমবার (১২ এপ্রিল) সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত “কোভিড অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ: কীভাবে সামলাব?” শীর্ষক সংলাপে বক্তারা এই সুপারিশ করেন। সংলাপটি ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়।

সংলাপে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, লকডাউনের অর্থনৈতিক একটি প্রভাব রয়েছে, কিন্তু এটি সংক্রমণ ছড়িয়ে পরা রোধে বাধা দেবে।  

তিনি আরও বলেন, জীবন এবং জীবিকার মধ্যে এখন জীবনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার সময় এসেছে এবং এর জন্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতামতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ।

সংলাপে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক, ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, গত বছরের থেকে এই বছর সংক্রমণের হার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরে আমরা দেখেছিলাম লকডাউন বেশ ঢিলেঢালাভাবে হয়েছিল। তিনি উৎপাদন প্রক্রিয়া চলমান রাখা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমিয়ে ভারসাম্য বজায় রাখার উপর গুরুত্ব তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এমপি বলেন, আমাদের করোনা ভাইরাস নিয়েই বাঁচতে শিখতে হবে। তিনি টিকা প্রস্তুতকরণে দেশের ভেতরের সম্ভাবনার কথা চিন্তা করতে বলেছেন। বাংলাদেশের দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশে এর আগেও কোভিড-এর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রচেষ্টা থাকলেও তা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে হয়নি বলে মতামত দেন ব্র্যাকের সাবেক ভাইস চেয়ারপারসন ড. আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী।  

বিজিএমইএ-এর নব-নির্বাচিত সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, লকডাউনে পোশাক কারখানা বন্ধ হলে শ্রমিকরা অনেকে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য গণপরিবহন ব্যবহার করবেন, যা সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।  


সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন- রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর, আইইডিসিআর'র উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন, ল্যাবএইড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এ এম শামীম, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির তাসলিমা আখতার, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) মহাসচিব ফারুক আহমেদ।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খানসহ সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ অনেকে সংলাপে অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের মতামত তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২১
এসএমএকে/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।