ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নিখোঁজ হওয়ার ১৩ বছর পর দেশে ফিরলেন নারীসহ দুইজন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২১
নিখোঁজ হওয়ার ১৩ বছর পর দেশে ফিরলেন নারীসহ দুইজন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: বাংলাদেশ থেকে নিখোঁজ হওয়ার ১৩ বছর পর আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন মানসিক ভারসাম্যহীন নারী দুইজন।

তারা হলেন- শায়েস্তারা বেগম (৫১) ও সমীর কুমার মজুমদার (৩৩)।

 

শুক্রবার (১২ মার্চ) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে তারা দেশে ফিরেন। প্রায় ১৩ বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি হাসপাতাল থেকে শায়েস্তারা ও ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর নিজ বাড়ি থেকে সমীর কুমার মজুমদার (৩৩) নিখোঁজ হন। দীর্ঘদিন ধরে তারা আগরতলার মডার্ণ সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।  

মানবাধিকারকর্মী খায়রুল আলমের মাধ্যমে তাদের সন্ধান পান পরিবারের সদস্যরা। ধারণা করা হচ্ছে তারা মানবপাচারের শিকার হয়ে ভারতে গিয়েছিলেন। মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হওয়ায় ওই দু’জনকে আদালতের নির্দেশে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার মডার্ণ সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চেকপোস্টে আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনার মো. জোবায়েদ হোসেন তাদের আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নূরে আলমের কাছে হস্তান্তর করেন। এরপর তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়।

শায়েস্তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার দেলী গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী। আর সমীর কুমার মজুমদার ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার ঝুমারকান্দা গ্রামের শশধর মজুমদারের ছেলে। দীর্ঘদিন পর নিজ দেশে ফিরে স্বজনদের কাছে পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন শায়েস্তারা ও সমীর।

মানবাধিকারকর্মী সৈয়দ খায়রুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমি আমার নিজ এলাকার (নড়াইল) একটি মেয়েকে খুঁজতে আগরতলার মডার্ণ সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালে যাই। সেখানে গিয়ে সমীর ও শায়েস্তারার খোঁজ পাই।  পরবর্তীতে তাদের ঠিকানা পেয়ে সমীর ও শায়েস্তারার স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে দুই দেশের হাই কমিশন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় অবশেষে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনার মো. জোবায়েদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ২৪ জন বাংলাদেশি আগরতলার মডার্ণ সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা কীভাবে ভারতে এসেছেন- সেটি জানা যায়নি। তারা বিক্ষিপ্তভাবে ঘুরাফেরা করার সময় পুলিশ তাদের আটক করে। তারা মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় আদালতের নির্দেশে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে দু’জনকে হাসপাতাল ছাড়পত্র দিলে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাদের স্বজনদের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২১
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।