ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খুলনায় আ.লীগের কর্মসূচিতে বাধা, পুলিশের দুই এসআই ক্লোজড

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২১
খুলনায় আ.লীগের কর্মসূচিতে বাধা, পুলিশের দুই এসআই ক্লোজড প্রতীকী ছবি

খুলনা: খুলনা মহানগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ায় মোমিনুল ও মিয়া রব নামে সদর থানার দুই উপ-পরিদর্শককে (এসআই) ক্লোজ করা হয়েছে। বুধবার (০৩ মার্চ) রাতে তাদের ক্লোজড করা হয়।

 

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার দক্ষিণ মো. আনোয়ার হোসেন।  

তিনি বলেন, সদর থানা পুলিশের দুই এসআই যাচাই-বাছাই না করে সমাবেশে বাধা দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে বিকেলে স্থানীয় ২১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ মিছিল থেকে বিএনপি অফিসের সামনে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে খুলনা সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করেন। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।  

নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের নেতা শামসুজ্জামান মিঞা স্বপন বলছেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি খুলনায় বিএনপির মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র আওয়ামী লীগ ও পুলিশ নিয়ে অশালীন বক্তব্য দেন। এ বক্তব্য নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করছে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। যার অংশ হিসেবে ২২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ বুধবার নগরীর হেলাতলা থেকে শুরু হয়। প্রতিবাদ মিছিলটি হেলাতলা হয়ে থানার মোড় হয়ে সোসাইটির মোড়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল। সেখানে বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদুর কুশপুত্তলিকার পোড়ানো ও প্রতিবাদ সমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু থানার মোড়ে জ্যাম থাকায় কে ডি ঘোষ রোডের বিএনপি অফিসের আগে সমাবেশ শুরু করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা।  

এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে নেতাকর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করে। তখন পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় চারপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগের নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

কাউন্সিলর শামসুজ্জামান মিঞা স্বপন আরও বলেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে অনুমতি নেন কর্মসূচি পালনের। তারপরও ওইখানে পুলিশের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। পরে অবশ্য এটি ভুল হয়েছে বলে দুঃখ প্রকাশ করে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২১
এমআরএম/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad