ঢাকা : আগামী ২০১৫ সালের মধ্যে দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ সঠিক পথে এগোলেওবৈষম্য বৃদ্ধি দারিদ্র্য হ্রাসের এ অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে।
দেখা গেছে, দেশের কোনো কোনো এলাকায় এখনও চরম দরিদ্রতা বিরাজ করছে।
সঠিক পরিকল্পনা ও দক্ষতার অভাব, কর্মসূচির সমন্বয়হীনতা, কাঠামোগত দুর্বলতা, শস্যের বহুমুখীকরণের সীমাবদ্ধতা, শিশুদের ক্রমাগত অপুষ্টি ও আঞ্চলিক উচ্চ দরিদ্রতাই এর কারণ।
‘সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জন : বাংলাদেশের অগ্রগতি ২০০৯’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। ২০১৫ সালের মধ্যে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে এটি চতুর্থ বার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন।
বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহের নির্ধারিত ৮টি ক্ষেত্রে ২০০৯ সালে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়।
এ উপলক্ষে হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সরকারের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশন ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মণি, পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার ও ইউএনডিপি প্রতিনিধি।
প্রতিবেদনে দারিদ্র্য হ্রাসে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি শস্যের বহুমুখীকরণ ও সমন্বিত ভূমি ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এছাড়া সমন্বিত নগর-নীতি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কার্যক্ষমতা বাড়ানো, পুষ্টি ও স্বাস্থ্য কর্মসূচির বাস্তবায়ন, দরিদ্রবান্ধব কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জ্বালানি স্বল্পতা দূর করা এবং সুশাসনের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সাল নাগাদ দারিদ্র্যের হার ২৯ শতাংশে নামিয়ে আনার বিপরীতে গত বছর তা ৩৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
তবে দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ সঠিক পথে থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন কিছুটা অনিশ্চিত। কারণ উল্লেখিত সময়ের মধ্যে কম ওজন বিশিষ্ট শিশু জন্মের হার ৩৩ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা রয়েছে। এখন যেটি ৪৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময় : ১৮১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১০