ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মহেশখালীর ভূমি অফিসের কর্মকর্তা দুদকের হাতে ধরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২১
মহেশখালীর ভূমি অফিসের কর্মকর্তা দুদকের হাতে ধরা

কক্সবাজার: কক্সবাজারের মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীনকে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের জিইসি মোড় এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানা গেছে।

আটক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন কক্সবাজার শহরের পেশকারপাড়া এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে। জয়নালের বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় দুর্নীতি ও নানা অনিয়মে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।

মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীনকে আটকের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেনে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন।  

দুদক সূত্র জানায়, জয়নাল একজন উপ-সহকারী কর্মকর্তা হলেও কালারমারছড়া ইউনিয়নে সরকারের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পকে ঘিরে ভূমি অধিগ্রহণ কাজে সিন্ডিকেট গঠন করে অবৈধভাবে শতকোটি টাকা আয় করে। কক্সবাজার ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় দুর্নীতি ও নানা অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে আটককৃত দালালদের ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতেও জয়নালের নাম উঠে আসে। তার এসব দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে সত্যতাও পেয়েছে দুদক। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা র্কাযালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।

কক্সবাজার জেলায় চলমান উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রথম কাজ ভূমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে দালালদের সিন্ডিকেটটি তৈরি হয়েছে। এসব দালাল জমির মালিকদের নাম দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিষয়টি নজরে আসার পর দুদক আনুষ্ঠানিকভাবে অনুসন্ধানে নামে।  

অনুসন্ধানের শুরুতেই দুদক ও র‌্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ৯৩ লাখ টাকাসহ সার্ভেয়ার মোহাম্মদ ওয়াসিমকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে ২২ জুলাই মো. সেলিম উল্লাহ, ৩ আগস্ট মোহাম্মদ কামরুদ্দিন ও সালাহ উদ্দিন নামের তিন দালালকে আটক করে দুদক।  

আটকের সময় এসব দালালের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকার নগদ চেক ও ভূমি অধিগ্রহণের গুরুত্বপূর্ণ মূল নথি উদ্ধার করা হয়। পরে আটককৃতদের ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে প্রায় দেড়শ দালালের নাম উঠে আসে।

এসব ঘটনার জের ধরে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসনের এলএ শাখার ৩০ কর্মকর্তাকে এক আদেশে শাস্তিমূলক বদলি করে ভূমি মন্ত্রণালয়। তার মধ্যে জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় কর্মরত ১৯ জন সার্ভেয়ার, সাতজন কানুনগো ও চারজন অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২১
এসবি/এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।