ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ডাকাতের ভয়ে যমুনায় ঝাঁপ দেওয়া সেই ৩ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২০
ডাকাতের ভয়ে যমুনায় ঝাঁপ দেওয়া সেই ৩ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

টাঙ্গাইল: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে জুয়ার আসরে ডাকাত দলের হামলার সময় আত্মরক্ষার জন্য যমুনা নদীতে ঝাঁপ দেওয়া নিখোঁজ সেই তিন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৯ নভেম্বর) তারাকান্দি পিংনা ইউনিয়নের যমুনা নদীর বাসুরিয়া চর এলাকায় থেকে দুইজনের এবং টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর চর থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃতরা হলেন, টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার শাখারিয়া গ্রামের মৃত জমসের আলী খানের ছেলে হাফিজুর রহমান (৩৭), একই জেলার ভূয়াপুর উপজেলার নিকলাপাড়া গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে ফজল মণ্ডল (৩৩) এবং জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের পাখিমারা গ্রামের শামছুল হকের ছেলে ছানোয়ার হোসেন ছানু (৪০)।

স্থানীয়রা জানান, সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য কুমারপাড়া গ্রামের সিদ্দিক তালুকদারের ছেলে লিটন তালুকদার, পোগলদিঘা ইউনিয়নের পাখিমারা গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে খোকন মিয়া ও পিংনা নরপাড়া গ্রামের মৃত বাহেজ আকন্দের ছেলে আব্দুল মান্নান সরকার ও কান্দারপাড়া আলীর নেতৃত্বে আওনা ও পিংনা ইউনিয়ন এবং তারাকান্দিসহ বিভিন্ন স্থানে থেকে আসা জুয়াড়ি নিয়ে জুয়ার বোর্ড বসাতেন।  

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের যমুনা নদীর পশ্চিমে বালুর চরে জুয়ার বোর্ডে ডাকাত দল হামলা চালায়। তখন জুয়ার বোর্ডের মালিক আব্দুল মান্নানকে কুপিয়ে জখম করে। অপর দুই জুয়ার বোর্ডের মালিক লিটন তালুকদার ও খোকন মিয়াকে পিটুনি দিলে তারা নদী সাঁতরিয়ে পালিয়ে যান। ডাকাতরা জুয়ার বোর্ডের মালিক ও জুয়াড়িদের কাছ থেকে থেকে টাকা ও মোবাইল নিয়ে যায়। জুয়াড়িদের মধ্যে অন্যরা নদী সাঁতরিয়ে চলে গেলেও হাফিজুর রহমান, ফজল মণ্ডল এবং ছানোয়ার হোসেন ছানু নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) রাতে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিখোঁজ তিন ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক সাধারণ ডায়েরি করা হয়।

রোববার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে হাফিজুর রহমানের মরদেহ ভুয়াপুর উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর চরে নদীর কিনারায় জেলেরা ভাসমান মরদেহ দেখতে পান। পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যেমে নিখোঁজ হাফিজুরের লোকজন খবর পেয়ে মরদেহ সনাক্ত করেন এবং খবর পেয়ে ভুয়াপুর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে পিংনা ইউনিয়নের যমুনা নদীর বাসুরিয়া চর এলাকায় ফজল মণ্ডল ও ছানোয়ার হোসেন ছানুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

তারাকান্দি পুুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, ফজল ও ছানু’র মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া হাফিজুরের মরদেহ ভুয়াপুর থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।