ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ধর্ষণের অভিযোগ থেকে বাঁচতে সাজানো বিয়ে, গ্রেফতার ৩

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২০
ধর্ষণের অভিযোগ থেকে বাঁচতে সাজানো বিয়ে, গ্রেফতার ৩ ধর্ষণের অভিযোগ থেকে বাঁচতে সাজানো বিয়ের অভিযোগে আটক তিনজন

ফরিদপুর: এক তরুণীকে (১৮) কৌশলে নিয়ে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে টানা ৫ দিন ধর্ষণের পর নিজেকে বাঁচাতে ভুয়া কাবিননামায় বিয়ে করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রোববার (২৫ অক্টোবর) ফরিদপুরের সালথা থানায় ওই তরুণীর বাবা বাদী হয়ে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করলে পুলিশ ধর্ষক ও ভুয়া কাজীসহ ৩ জনকে আটক করেছে।

আটকরা হলেন, সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামের এনায়েত হোসেন মৃধা (৪২), ভুয়া কাবিননামা প্রস্তুতকারী কাজী বসিরুল ইসলাম (৪০) বোয়ালমারী উপজেলার চালিনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং তার ভাই কাবিননামার স্বাক্ষী হোসাইন মোল্লা (২৭)।

অভিযুক্ত মো. এনায়েত হোসেন মৃধা এ পর্যন্ত অন্তত ৫টি বিয়ে করেছেন এবং তার প্রত্যেক স্ত্রীরই সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণীর বাড়ি উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে। স্থানীয় বাজারের গোস্ত ব্যবসায়ী এনায়েত মৃধার সাথে পরিচয়ের পর থেকে মুঠোফোনে কথা হতো ওই তরুণীর। গত ২ অক্টোবর বিকেলে এনায়েত ফুসলিয়ে ওই তরুণীকে নিয়ে যান ঢাকার আশুলিয়ায়। সেখানে একটি ভাড়া বাসায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে টানা ৫ দিন ধর্ষণ করেন এনায়েত।

এরপর ধর্ষণের অভিযোগ থেকে নিজেকে বাঁচাতে গত ৮ অক্টোবর ঢাকা থেকে ওই তরুণীকে নিয়ে যান বোয়ালমারীতে। সেখানে বসিরুল ইসলামের সহায়তায় একটি ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে এনায়েত ওই তরুণীকে জানায়। ভুয়া ওই কাবিননামায় সাক্ষী হন কাবিননামা প্রস্তুতকারী কাজীর ভাই হোসাইনসহ আরো দুজন। ভুয়া কাবিননামায় বিয়ের নাটক শেষে এনায়েত ও ওই তরুণী স্বামী-স্ত্রী সেজে বাড়িতে ফিরে আসেন এবং এরপর তরুণীকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

পরবর্তীতে কাবিননামাটি ভুয়া প্রমাণিত হলে ঘটনার শিকার তরুণীর বাবা সালথা থানায় প্রধান অভিযুক্ত এনায়েতসহ কাজী ও সাক্ষীদের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেন।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, প্রধান অভিযুক্ত এনায়েতকে রোববার বোয়লমারী উপজেলার ময়েনদিয়া বাজার থেকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কাজী বসিরুল ইসলাম ও তার ভাই হোসাইন মোল্লকে আটক করে পুলিশ। ভুয়া ওই কাবিননামায় সাক্ষী হিসেবে আরও দুজনের নাম রয়েছে, তাদেরও আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২০
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।