ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বেগমগঞ্জে ইউপি সদস্যের পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২০
বেগমগঞ্জে ইউপি সদস্যের পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বাংলানিউজ

নোয়াখালী: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুরে আলোচিত নারী নির্যাতনের ঘটনাকে পূঁজি করে ইউপি সদস্য সোহাগের পরিবারের নারী সদস্যদের হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।  

বুধবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগের বাড়িতে সহধর্মিণী কানিজ ফারহানা এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, আগের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্থানীয় ভূমিদস্যু নুর হোসেন বাবলু গংরা আমার স্বামী জেলহাজতে থাকার সুযোগ নিয়ে কিছু মিডিয়ার কাছে অপপ্রচার চালিয়ে দলবল নিয়ে সংবাদ সংগ্রহের নামে আমাদের বাড়িতে হামলা করে। এসময় বাড়িতে কোনো পুরুষ সদস্য না থাকায় তারা বসতঘরের কলাপসিবল গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীরা পালিয়ে।

তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে আরো বলেন, নারী নির্যাতনের ঘটনায় আমার স্বামীর কোনো ভূমিকা ছিলো না। তবুও যদি তদন্তে তার কোনো দোষ প্রমাণিত হয়। তাহলে আইনের আলোকে তার বিচার হবে। কিন্তু তার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে ভূমিদস্যু বাবুল সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা নামধারী কয়েকজনকে ভাড়া করে এনে আমাদের পরিবারের লোকদের হয়রানি করে। আমি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে সোহাগ মেম্বরের আত্মীয় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম বিএ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ এলাকার সর্বস্তরের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আবুল হাশেম বিএ বলেন, আমার বেয়াই মৃত মোস্তফা মেম্বর দীর্ঘ ত্রিশ বছর এই এলাকার মেম্বর ছিলেন। একসময় তিনি একলাশপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় তার ছেলে সোহাগও স্থানীয়দের ভোটে মেম্বর নির্বাচিত হয়। দীর্ঘ এই সময়কালে এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অন্যায়ের কোনো অভিযোগ ওঠেনি। কিন্তু একলাশপুর এক নারী নির্যাতনের শিকার হলে, ভুক্তভোগী নারী সোহাগের কাছে এলে সোহাগ তাকে দেড় হাজার টাকা দিয়ে আদালত মামলা করার জন্য বলে। তবে ওই নারী মামলা না করে আত্মগোপনে চলে যায়।  
 
পরবর্তীতে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ সোহাগকে আটক করে। বর্তমানে সে কারাগারে আছে। এ সংকট মুহূর্তে এক ধরনের সুযোগ সন্ধানী গোষ্ঠী সোহাগের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তার বিরুদ্ধে মিডিয়ার কাছে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ সুযোগে স্থানীয় ভূমিদস্যু নুর হোসেন বাবলু কয়েকজন কথিত সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা নামধারী একজন ধান্দাবাজ লোক নিয়ে আমার আত্মীয়ের বাড়িতে হামলা চালিয়ে পুরুষ সদস্য না থাকায় নারীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাদের ধাওয়া করলে পালিয়ে যায়।

তিনিও আরো অভিযোগ করেন, ওই সাংবাদিক পুরো বিষয়টা নারী নির্যাতনের বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে নিয়ে উল্টো মামলা করার হুমকি দিচ্ছেন। তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর সময়ের তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।  

এসময় এলাকার লোকজনও সোহাগ মেম্বরের পক্ষে নানা স্লোগান দিয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৫১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad