ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভাঙনের কবলে পদ্মা রিসোর্ট

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২০
ভাঙনের কবলে পদ্মা রিসোর্ট

মুন্সিগঞ্জ: দুই সপ্তাহ ধরে চলা প্রায় কয়েকদফা নদী ভাঙনের কবলে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা রিসোর্টটি। চলমান ভাঙন রিসোর্টের কাছাকাছি চলে এসেছে।

ইতোমধ্যে দুইটি কটেজ ঘর, বসার স্থান, বাগান, মাঠের অংশ পদ্মায় ভেঙে গেছে।

১৩ বছর আগে ২০০৭ সালের অক্টোবর মাসে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মারিসোর্ট যাত্রা শুরু করে। দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকাসহ আশেপাশের জেলার মানুষজন এখানে ঘুরতে আসে। প্রায় ৩৩০ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত রিসোর্টের প্রায় ১৬৫ শতাংশ জমি নদী বিলীন হয়ে গেছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। ১৬টি কটেজ ঘরের মধ্যে ১৪টি আছে যা সরানো হচ্ছে নিরাপদ স্থানে।

বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) সকাল থেকে উত্তর দিঘলী গ্রামে অবস্থিত রিসোর্টটির মালামাল সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র স্থাপনের পরিকল্পনা চলছে।  

পদ্মা রিসোর্টের পরিচালক সাদেক হোসেন মান্না বাংলানিউজকে জানান, ১৯৯২-৯৪ সালের দিকে চরটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছিল। এরপর ২০০১-২০০২ সালের দিকে আবার জেগে উঠে বড় নওপাড়া নামে পরিচিত চরটি। তারপর এখানে নিজস্ব জমিতে ২০০৭ সালের অক্টোবর মাসে স্থাপন করা হয় পদ্মারিসোর্ট। দুই সপ্তাহ ধরে রিসোর্টের নদীপাড়ের জায়গায় পদ্মার ভাঙন দেখা দেয়। তীব্র স্রোত বৃদ্ধি ও ভাঙন শুরু হলে কটেজ ঘর পর্যন্ত এসে পড়ে। প্রায় ৩৩০ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত রিসোর্টের প্রায় ১৬৫ শতাংশ জমি নদীতে গেছে।  

তিনি জানান, দুর্ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তাজনিত কারণে দর্শনার্থীদের আসা বন্ধ করা দেওয়া হয়। ২২ জন স্টাফ কর্মরত ছিলো রিসোর্টটিতে। ইতোমধ্যে দুইটি কটেজ ঘর, বসার স্থান, বাগান, ৪০ শতাংশ মাঠ পদ্মায় ভেঙে গেছে। ১৬টি কটেজ ঘরের মধ্যে ১৪টি আছে যা সরানো হচ্ছে নিরাপদ স্থানে। কিন্তু শ্রমিক সংকট রয়েছে। তাই আজকের মধ্যে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। এখন নতুন জায়গা নির্বাচন করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। নতুন কোনো জায়গায় আবার শুরু করতে হবে। কিন্তু সেটা কবে সম্ভব হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।  

লৌহজং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে জানান, পদ্মানদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পদ্মা রিসোর্টটি এই ভাঙনের কবলে পড়ে। রিসোর্টের বেশকিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মালামাল সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে নিরাপদ স্থানে। আপাতত বন্ধ রিসোর্টটি। এখনো বিলীন জমির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি চরটি।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।