ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অবৈধভাবে ধান-চাল মজুদ করে রেখেছেন অসাধু মিল মালিকরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
অবৈধভাবে ধান-চাল মজুদ করে রেখেছেন অসাধু মিল মালিকরা

ঢাকা: অসাধু মিল মালিকরা অবৈধভাবে ধান চাল মজুদ করে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।  

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) খাদ্য ভবনের সভাকক্ষে চালকল মালিক সমিতি ও চাল ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমার নিজ এলাকা নওগাঁয় বন্ধ মিলগুলোতে হাজার হাজার মেট্রিক টন চাল ও ধান মজুদ রয়েছে। তারা এ টাকা পেলো কোথায়? যার বন্ধ মিল তারতো টাকা নেই। তাহলে কার টাকা। কিন্তু আপনারাতো এ তথ্য দিচ্ছে না। সে তথ্য দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করেন।

তিনি বলেন, দেশে কৃষকদের কাছে দুই শতাংশ ধানও নেই। আমি নয় দিন নওগাঁ, বগুড়া, জয়পুরহাট এলাকায় ঘুরেছি। বড় বড় মিলাররা কিছু পরিমাণ ধান মজুদ রেখেছেন এতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু দেখা গেছে মিল বন্ধ, লাইসেন্সও নবায়ন করেনি অথচ সেসব মিলেও ধান মজুদ রেখেছে। গত দুই দিন আমি গোপন সার্ভে করে প্রায় ৫০ টি মিলের খোঁজ পেয়েছি। এসব মিলে নিম্নে ২০০ থেকে তিন হাজার মেট্টিক টন ধান মজুদ রয়েছে। এ সার্ভে যদি আরও সাত দিন করা হয় তাহলে শত শত চালকল পাওয়া যাবে সেখানে অবৈধভাবে ধান মজুদ রাখা হয়েছে। আড়ৎদাররাও ধান ও চাল মজুদ করে রাখছেন। এটা কি পরিকল্পিতভাবে সরকারকে বেকায়দায় ফেলা হচ্ছে না? যেসব মিল মালিক এ ধরনের অবৈধ মজুদ করছেন না, তারাও অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছেন না।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অবৈধ মজুদকারিদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট শুরু হয়েছে। ধান মজুদ আছে এ ধান বের করতে হবে। মিলাররা সেসব মজুদদার থেকে ধান কেনা বন্ধ করেন তাহলে অটো সে ধান বের হয়ে আসবে। ধান কতো করে কিনছেন, আর চাল কতো করে বিক্রি করছেন সেটা আজ বলে যেতে হবে। এ রকম সহযোগিতা পেলেতো তাদের কোলে তুলে নিতাম। আমি নওগাঁর মন্ত্রী নওগাঁর মিল মালিকরা যদি হাজার হাজার মেট্টিক টন ধান ও চাল মজুদ করে রাখে তাহলে আমার মনে কি হয়?

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন, কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, খাদ্য অধিদপ্তরের সারোয়ার মাহমুদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবদুল আজিজ মোল্লা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।