বাগেরহাট: বাগেরহাট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হেফাজতে রাজা ফকির নামে হত্যা মামলার এক আসামির মৃত্যুর অভিযোগ করেছে তার পরিবার। তবে পিবিআই পুলিশ বলছে শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনি মারা যান।
নিহত ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। মৃত্যুর খবর পেয়ে সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজা ফকিরের বাবা ও স্বজনরা হাসপাতালে ছুটে আসেন।
রাজা ফকির বাগেরহাট সদর উপজেলার খানজাহান আলী দীঘির পাড় এলাকার বাবু ফকিরের ছেলে।
রাজা ফকিরের বাবা বাবু ফকির বলেন, রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে পটুয়াখালীর এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে রাজাকে বাগেরহাট পিবিআই আবু সাইদ আটক করে বাগেরহাটে নিয়ে আসেন। আনার পথে রাজার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। বাগেরহাটে নিয়ে এসেও রাজার ওপর নির্যাতন চালায়। ওই এসআইয়ের মোবাইল থেকে কল দিয়ে আমাদের নির্যাতনের কথা জানায় রাজা। বাদীপক্ষের সহায়তায় পুলিশ আমার ছেলের ওপর নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।
২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাগেরহাট সদর উপজেলার খানজাহান আলী মাজার মোড় এলাকায় ছুরিকাঘাতে তামিম মল্লিক (১৮) নামের এক যুবক নিহত হয়। পরে একই এলাকার জাহাঙ্গীরের ছেলে মিলন ও রাজা ফকিরকে আসামি করে বাগেরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের করেন তামীমের পরিবার। সেই মামলায় পিবিআই সদস্যরা রাজা ফকিরকে গ্রেফতার করে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন কেএম হুমায়ুন কবির বলেন, বাগেরহাট পিবিআই পুলিশের সদস্যরা দুপুর ১টা ২০ মিনিটের সময় রাজা ফকির নামে এক যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। দায়িত্বরত চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত পান। ময়নাতদন্তের পরে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপরে পিবিআই বাগেরহাটের কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
আরএ