ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লেখক শেখ হাসিনা আলোচনার দাবিদার: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
লেখক শেখ হাসিনা আলোচনার দাবিদার: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বক্তব্য রাখছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ

ঢাকা: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা যতটা আলোচিত হয়েছেন, লেখক শেখ হাসিনাও ঠিক ততটা আলোচনা পাওয়ার দাবিদার। আমরা মনে করি তার সংগ্রামী জীবন ও রাজনীতি যেমন গবেষণার বিষয়, তেমনি তার লেখক সত্তাও গভীর গবেষণার দাবি রাখে।

 

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে বাংলা একাডেমি অায়োজিত 'লেখক শেখ হাসিনা' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

সেমিনারে একক বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। শেখ হাসিনাকে নিবেদন করে লেখা নির্মলেন্দু গুণের ‘পথে পাথে পাথর’ কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী আহ্কামউল্লাহ। একাডেমির সভাপতি শামসুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।  

অনুষ্ঠানের শুরুতে সদ্যপ্রয়াত অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের প্রয়াণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এসময় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সাংবাদিক আবেদ খান, কবি তারিক সুজাত, লেখক নূরুল করিম নাসিম প্রমুখ।  

কে এম খালিদ বলেন, শেখ হাসিনার রচনায় জীবনের বৈচিত্র্যের পাশাপাশি উৎসারিত হয়েছে গভীর বেদনাবোধ। আমরা সবাই জানি কী তার বেদনা, কী তার শোক। বঙ্গবন্ধুসহ পুরো পরিবারকে হারিয়ে যিনি সমগ্র দেশবাসীকে বরণ করে নিয়েছেন আপন পরিবার হিসেবে, তার পক্ষেই সম্ভব অসাধারণ ও অতুলনীয় ত্যাগ, শ্রম, মেধা ও দক্ষতায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির দিকে এভাবে অব্যাহত এগিয়ে নেওয়া।  

'শেখ হাসিনা রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থপাঠ কেন অপরিহার্য' শীর্ষক বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, একদিকে স্বজন হারানো বুকে কষ্টের পাথর চেপে, বাবা মুজিবের মতোই অন্ধকার সময়ের সব জটিলতা-কুটিল ষড়যন্ত্র, ভয়-ভীতি, প্রলোভন ও প্রতিনিয়ত মৃত্যুবাণ উপেক্ষা করে, দেশের মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন ও ভালোবাসা অভিষিক্ত হয়ে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের পথে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন, অন্যদিকে বেদনামথিত হৃদয়ে দেশে-বিদেশে, কারা অভ্যন্তরে এমনকি রাষ্ট্র পরিচালনার সীমাহীন ব্যস্ততা উজিয়ে চলমান রেখেছেন তার লেখনি।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা রচিত গ্রন্থসমূহে সহজ, সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় বর্ণিত ঘটনাসমূহের তীব্র-তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ যেমন আমাদের নতুন পথের সন্ধান দেয়, তেমনি মুজিববর্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শতবর্ষ স্মারকগ্রন্থসহ তার সম্পাদিত গ্রন্থ ও গোয়েন্দা দলিলপত্র উত্তর প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশের রাজনীতি ও সমাজবাস্তবতার গতিপথ অনুধাবনে সচেতন ও সতর্ক হতে সহায়তা করে। তাই শেখ হাসিনা রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থসমূহ পাঠ করা আমাদের জন্য অপরিহার্য।  

শামসুজ্জামান খান বলেন, রাজনীতিবিদ, রাষ্ট্রনায়ক ও বিশ্বনেতা শেখ হাসিনা লেখক হিসেবেও বিশিষ্টতার দাবিদার। এ পর্যন্ত প্রকাশিত তার গ্রন্থসমূহ ধারণ করেছে নিজের ঘটনাবহুল জীবনের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের অজানা কথা, দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা, সর্বোপরি একজন অসাম্প্রদায়িক-প্রগতিশীল মানুষের স্বপ্ন ও সংকল্প। শেখ হাসিনার রচনা-কুশলতা, ভাষাভঙ্গি, গদ্যশৈলী প্রমাণ করে লেখক হিসেবেও তিনি অনন্য ও স্বতন্ত্র।  

হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, শেখ হাসিনা রচিত গদ্যে স্মৃতির দখিন দুয়ার খোলা থাকে সতত, তিনি সে দুয়ার খুলে দেখেন ফেলে আসা সময়, জনমানুষ ও জীবন। অন্যদিকে স্বদেশ, সমাজ এবং বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে গভীর ভাবনার পাশাপাশি ভাগ্যবিত বৃহৎ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের রূপকল্পনায়ও উদ্ভাসিত তার প্রবন্ধপট। 'ওরা টোকাই কেন' থেকে 'শেখ মুজিব আমার পিতা'- বইগুলোর নিবিড় পাঠে আমরা এ সত্যের সন্ধান পাই।

সেমিনার শেষে বাংলা একাডেমিতে ২৮ থেকে ৩০ সেপ্টেস্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী শেখ হাসিনা রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
ডিএন/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।