ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: সন্ধিগ্ধ আসামি রাজন গ্রেফতার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: সন্ধিগ্ধ আসামি রাজন গ্রেফতার সন্ধিগ্ধ আসামি রাজন আহমদ

সিলেট: সিলেট মুরারী চাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত মামলার সন্ধিগ্ধ আসামি রাজন আহমদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কচুয়া বহর নয়াটিলা খবি বেগমের বসতঘর থেকে তাকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, এসময় রাজনের সঙ্গে আইনুল নামে তার আরেক সহযোগীকে আটক করে আনা হয়।  

স্থানীয়রা জানান, কচুয়াবহর নয়াটিলার বাসিন্দা খবি বেগমের এক মেয়ে নগরের টিলাগড়ে বিয়ে দেন। ওই মেয়ের দেবর রাজন আহমদ। সেই সুবাদে ওখানে আশ্রয় নিয়ে লুকিয়ে ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে খবি বেগমের মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

এ বিষয়ে সিলেট নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) জ্যোতির্ময় সরকার বাংলানিউজকে বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় ইতোমধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সন্ধিগ্ধ আরো দু’জনের একজন গোলাপগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে এজাহার নামীয় ৬ জনকে নিয়ে আমরা কাজ করছি। সন্ধিগ্ধ কেউ আটক হলেও তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটক রেখে নারীকে ছাত্রলীগের ৬ জন নেতাকর্মী গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই দম্পত্তিকে ছাত্রাবাস থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দক্ষিণ সুরমার নবদম্পতি শুক্রবার বিকেলে প্রাইভেটকারে যোগে এমসি কলেজে বেড়াতে যান। বিকেলে এমসি কলেজের ছাত্রলীগের ছয়জন নেতাকর্মী স্বামী-স্ত্রীকে ধরে ছাত্রাবাসে নিয়ে প্রথমে মারধর করেন। পরে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করেন। ছাত্রলীগ নেতাদের প্রত্যেকেই ছাত্রাবাসে থাকেন। তারা টিলাগড় কেন্দ্রীক আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার গ্রুপের অনুসারী।

এ ঘটনায় শনিবার ভোর রাতে ৬ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনকে অভিযুক্ত করে নগরের শাহপরান থানায় এ মামলা (২১(৯)২০২০) দায়ের করেন ধর্ষিতার স্বামী।

এছাড়া ঘটনার পর অভিযানে নেমে সাইফুরের কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেন শাহপরান (র.) থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিল্টন সরকার। ছাত্রলীগ ক্যাডার সাইফুর রহমানকে আসামি করে মামলা (নং-২২(৯)২০২০) দায়ের করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০২৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
এনইউ/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।