ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

‘পদ্মাসেতুর রেললাইনে ত্রুটি রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০
‘পদ্মাসেতুর রেললাইনে ত্রুটি রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা’ পদ্মাসেতু এলাকা পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, ছবি: বাংলানিউজ

মুন্সিগঞ্জ: পদ্মাসেতুর রেললাইনে ত্রুটি রয়েছে কিনা, তা বিশেষজ্ঞরা খতিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।

তিনি বলেছেন, ‘ত্রুটি ধরা পড়েছে এ কথা কিন্তু এখনো বলার সময় আসেনি।

এ কারণে যে রেলের কাজ যেভাবে চলছে, তাতে সড়ক বিভাগ নতুন ধরনের একটি শর্ত দিয়েছে। তবে, সড়ক বিভাগের কাছে এ পর্যন্ত কোনো ডিজাইন নেই। যেহেতু ইঞ্জিনিয়ারিং সমস্যা, সেহেতু সমাধানে বিশেষজ্ঞরা আছেন। তবে, ডিজাইনে বড় ধরনের কোনো পার্থক্য আছে বলে মনে হয় না। বিষয়টি সমাধানের জন্য সড়ক বিভাগ ও রেলওয়ের কাছে ডিজাইন চাওয়া হয়েছে। এরপর দু’টি ডিজাইন মিললে একটা সমাধানে আসা যাবে। আর আদৌ এটি কোনো সমস্যা কিনা বিশেষজ্ঞরা কিছু না বলা পর্যন্ত, বলা যাচ্ছে না। সেতুতে ওঠা-নামার বিষয়টি সমন্বয় করতে হবে। পদ্মাসেতুর এ বিষয়টি পজেটিভভাবে দেখতে হবে। ’

বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান রেলমন্ত্রী।  

সম্প্রতি পদ্মাসেতুর রেললাইনের কাজে আপত্তি দেয় পদ্মাসেতু কর্তৃপক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে গিয়ে পদ্মাসেতুর কাজ পরিদর্শন করলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান। পরিদর্শনকালে পদ্মাসেতুর প্রকৌশলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, সেতুর দুই প্রান্তে রাস্তার ওপর দিয়ে টানা হচ্ছে রেললাইন। কিন্তু লাইনের উচ্চতা এত কম যে নিচের হেডরুম দিয়ে বেশি উচ্চতার যানবাহন সেতুতে ওঠা-নামা করতে না পারার শঙ্কা রয়েছে।  

পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান বলেন, ‘এটি একটি জাতীয় প্রকল্প। জাতীয়ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ত্রুটি শব্দের সঙ্গে আমরা একমত নই। ত্রুটি তখনই হবে, যখন চূড়ান্তভাবে পাওয়া যাবে। এটি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে, কিছু সংশয় দেখা দিয়েছে। এত বড় প্রকল্পের পদে পদে সমস্যা হতে পারে। সেতু চালু হওয়ার আগেই এটি চিহ্নিত করা গেছে। এ ব্যাপারে উচ্চতর পর্যায়ে আলোচনা হবে। ’

পদ্মাসেতুর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চিঠি দিয়েছিলাম। এখন আলোচনা করে এটি সমাধান করা হচ্ছে। ’

পদ্মাসেতু রেল প্রকল্পের মাওয়া কনস্ট্রাকশনের প্রজেক্টর বিগ্রেডিয়ার আহমেদ জামিল ইসলাম বলেন, ‘প্রাকটিক্যাল সল্যুশনের দিকে যাচ্ছি না। বাংলাদেশ ব্রিজ কর্তৃপক্ষ ভার্টিক্যাল হেডরুম ৫.৭ মিটার রাখতে বলেছে। যা পদ্মাসেতুর অংশে ৫.৭ মিটারের বেশি আছে। হরাইজন্টাল স্ট্যান্ডার্ড যতটুকু থাকার দরকার ততটুকু আছে। পদ্মাসেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই এসব বিষয় সমাধানের চেষ্টা চলছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।