ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তন ও কোভিড-১৯ মহামারি থেকে উদ্ভূত সংকট কার্যকরভাবে মোকাবিলার জন্য ঐক্যবদ্ধ বৈশ্বিক কর্মপরিকল্পনা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, গত মাসে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়।
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের নেতৃস্থানীয় দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় লেখা এক নিবন্ধে এ আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন ও কোভিড-১৯ মহামারি বৈশ্বিক হুমকি। এ উভয় ঝুঁকি প্রশমনে আমাদের আরও অনেক কিছু করতে হবে। আর তা ঐক্যবদ্ধ আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে করতে হবে।
বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিগ্রস্ত অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও লাখ লাখ মানুষের জীবন, স্বাস্থ্য পরিচর্যা পদ্ধতি ও অর্থনীতিকে নিরাপদ করার চেষ্টা করছে।
বৈশ্বিক মোট কার্বন নিঃসরণের ৮০ শতাংশের জন্য জি-২০ দেশগুলো দায়ী। প্রত্যেকের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছাড়া বিশ্ব সাফল্যজনকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি সামলাতে পারবে না। বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি এখনও আমাদের জন্য সেরা সুযোগ। এ পর্যন্ত ১৮৯টি দেশ এ চুক্তিটি অনুমোদন করেছে। এতে বৈশ্বিক তাপমাত্রার নিঃসরণ কমাতে সম্মিলিত পদক্ষেপের অঙ্গীকার রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ কখনও এককভাবে আঘাত হানে না। গত মে মাসে বন্যার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এর পাশাপাশি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো থেকে এরই মধ্যে ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন মানুষকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। তবে কোভিড-১৯ এ মৃত্যু ও আক্রান্তের হার এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
কোভিডের কারণে অর্থনৈতিক লকডাউন আমাদের বস্ত্রশিল্প ও রপ্তানিকে আঘাত করেছে। বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ বর্তমানে বেকার।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
এমইউএম/ওএইচ/