ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঝিনাইগাতীতে ৫ বছরেও খাদিজার ভাগ্যে জুটেনি সরকারী ঘর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
ঝিনাইগাতীতে ৫ বছরেও খাদিজার ভাগ্যে জুটেনি সরকারী ঘর খাদিজা বেগমের পরিবার

শেরপুর: শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ৫ বছরেও খাদিজা বেগমের ভাগ্যে জুটেনি সরকারী ঘর।  

খাদিজা বেগম উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়ের দক্ষিণ ডেফলাই গ্রামের নুর হোসেনের স্ত্রী।

নুর ইসলাম রোগাক্রান্ত কর্মহীন। ১ ছেলে ও ৪ মেয়েসহ ৭ সদস্যের পরিবারের বোঝা বহন করতে হচ্ছে খাদিজা বেগমকে।  

বসতবাড়ীর জমিটুকু ছাড়া সহায় সম্বল বলতে আর কিছুই নেই। খাদিজা বেগম বাড়িতে কাপড় সেলাই করে যা আয় করেন, তা দিয়ে কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে চলে তার সংসার। বসতবাড়ীর ঘরটিও বসবাসের অনুপযোগী। অর্থের অভাবে মেরামত করতে পারছেন না। একটি সরকারী ঘর বরাদ্দ চেয়ে গত ৫ বছরে জন প্রতিনিধিদের কাছে বহু আবেদন নিবেদন করেছেন, কিন্তু কোন কাজ হয়নি।
 
প্রায় ৩ বছর পূর্বে খাদিজা বেগম তার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানের কাছে একটি ঘর বরাদ্দ দেওয়ার জন্য আবেদন করেন। এ সময় ওই ইউপি সদস্য তার কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন।  ইউপি সদস্যের দাবি অনুযায়ী সম্পূর্ণ টাকা দিতে না পারলেও খাদিজা বেগম ধার-দেনা করে ১৪ হাজার টাকা দেন।  

কিন্তু এর পরেও খাদিজা বেগমের ভাগ্যে জুটেনি সরকারী ঘর। ফিরে পাননি তার দেওয়া টাকা। উক্ত টাকা উদ্ধারের দাবিতে প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো কাজ হয়নি। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবেল মাহমুদের বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেছেন তিনি।  

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি তার কাছ থেকে কোনো টাকা নিইনি।  

ইউএনও রুবেল মাহমুদ অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, এ ধরনের আরও কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৬৫১ ঘন্টা, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০
ইউবি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।