ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বড়াইগ্রামে বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ, মামলা দায়ের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
বড়াইগ্রামে বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ, মামলা দায়ের প্রতীকি ছবি

নাটোর: নাটোরের বড়াইগ্রামে নিজের মেয়েকে (১৬) ঘরে আটকে রেখে জোরপুর্বক ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ধর্ষক বাবা শরিফুল ইসলামের (৪০) বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বড়াইগ্রাম থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন ধর্ষিত ওই মেয়ের মা রেখা বেগম। অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম বড়াইগ্রাম উপজেলার গোয়ালফা এলাকার বশরত মন্ডলের ছেলে।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান,  ওই মেয়েটির মা রেখা বেগম ৮/১০ বছর আগে তার স্বামী শরীফুল ইসলামকে ছেড়ে ওই মেয়েকে নিয়ে নাটোর সদর উপজেলার পুর্ব হাগুরিয়া গ্রামে তার বাবা আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন।  

পরে দ্বিতীয়বার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে অন্যত্র সংসার গড়েন রেখা বেগম। আর মেয়ে (১৬) তার নানা আনোয়ার হোসেনের বাসায় থাকতেন। গত কোরবানির ঈদের আগে শরিফুল ইসলাম তার মেয়েকে নানার বাড়ি থেকে বড়াইগ্রামে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে নিজের ওই মেয়েকে গত দু’মাস ধরে ঘরে আটকে রেখে নিয়মিতভাবে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতে থাকেন। মেয়েটি এ ঘটনা তার দাদা বশরত আলী ও তার দাদীকে জানালেও কোনো প্রতিকার পায়নি।  

ফলে মেয়েটি আরও বেশি অসহায় হয়ে পড়ে। এই সময়ে যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি শারীরিকভাবেও নির্যাতনের শিকার হয় মেয়েটি। বাড়িতে কোনো লোকজন এলে তার সঙ্গে দেখা বা কথা বলতেও দেয়া হতো না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে মেয়েটি তার মাকে ঘটনাটি খুলে বলে।

পরে এ ঘটনায় মেয়েটির মা রেখা বেগম বাদী হয়ে তার বাবা শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে। একইসঙ্গে  আদালতে  বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে তার স্বীকারোক্তি  গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওসি।  

এদিকে নির্যাতিতা ওই মেয়ে বাংলানিউজকে বলেন, তার মা বাবাকে ছেড়ে অন্যত্র বিয়ে করেছেন ১০ বছর আগে। পরে বাবাও দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এবার কোরবানির ঈদের সময় ছোট মা বেড়াতে গেলে বাবা আমাকে বাড়িতে নিয়ে যান।  এক রাতে আমাকে বাবা ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর বিভিন্ন সময় আরও ৭/৮ বার ধর্ষণ করেন। পূনরায় গত সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর)  দিনগত রাতে ধর্ষণের চেষ্টা করলে বাধা দিই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অনেক মারপিট করে। একই সঙ্গে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। পরে ভয় পেয়ে আমি মাকে সব খুলে বলি।  ঘটনা জানার পর  মা  মঙ্গলবার দুপুরে থানায় এসে অভিযোগ করেছেন। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
ইউবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।