ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মানবিক শহর গড়তে সাইক্লিং-হাঁটার জন্য আলাদা লেন করতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
মানবিক শহর গড়তে সাইক্লিং-হাঁটার জন্য আলাদা লেন করতে হবে ওয়েবিনার।

ঢাকা: মানবিক শহর গড়তে হেঁটে চলা ও সাইকেলবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশিষ্টজনেরা।  

তারা বলছেন, ঢাকা শহরে গণপরিবহন, হাঁটা ও রিকশার মাধ্যমে ৯৩ শতাংশ চলাচল হলেও পরিকল্পনায় এই মাধ্যমগুলোর প্রাধান্য নিশ্চিত করা হয়নি।

সুতরাং মানবিক শহর গড়তে বাইসাইকেল ও হাঁটার জন্য আলাদা লেন তৈরি প্রয়োজন।  

মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) সভাকক্ষে ‘বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত ‘হাঁটা ও সাইকেলে ফিরি, বাসযোগ্য নগর গড়ি’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা একথা বলেন।  

বক্তারা বলেন, যাতায়াতের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গণপরিবহন, সাইকেল ও হাঁটার পরিবেশ উন্নয়নের যে যোগান তা নিশ্চিত না হওয়ায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা ক্রমাগত বাড়চ্ছে। ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে না করেও এখন সড়কে যাতায়াত চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে প্রয়োজন কার্যকরী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ।  

ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান।  

আয়োজনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সামসুল হক।  

আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আখতার, আরবান ট্রান্সপোর্ট, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, নূর মোহাম্মদ মজুমদার, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব নাসির উদ্দিন তরফদার, বুয়েটের নগর ও পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মুসলেহ উদ্দিন হাসান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক ড. আদিল মোহাম্মদ খান, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদ ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান প্রমুখ।  

অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আখতার বলেন, ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য হাঁটা ও সাইকেলবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। বিশ্বের উন্নত দেশসমূহের যাতায়াত পরিকল্পনায় হাঁটা ও সাইকেলকে প্রাধান্য দেওয়ায় তারা যানজট হ্রাসে সমর্থ হয়েছে।
 
নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ডিটিসিএর সঙ্গে সমন্বয় করে গাড়ির সংখ্যা নির্ধারনের জন্য আমরা কাজ করতে পারি। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের হেঁটে ও বাস চালু করলে যানবাহনের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।  

অনুষ্ঠানের সভাপতি খন্দকার রাকিবুর রহমান বলেন, অতি শিগগিরই আমরা দুই সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে রোড নেটওয়ার্ক, রাজউকের সঙ্গে ভূমি ব্যবহার ও ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে আলোচনা করে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবো।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
টিএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad