ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

১২ ঘণ্টার ব্যবধানে মা-বাবা ও মেয়ের মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
১২ ঘণ্টার ব্যবধানে মা-বাবা ও মেয়ের মৃত্যু

কুষ্টিয়া: মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে কুষ্টিয়ার মিরপুরে মা-বাবা ও মেয়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। একই দিনে তিনজনের এমন মৃত্যুতে হতভম্ব এলাকাবাসী।

ইতোমধ্যে তিনজনেরই মরদেহ দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

মৃতরা হলেন- কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ধুবাইল ইউনিয়নের গোবিন্দগুনিয়া গ্রামের লালন মল্লিক (৭০), লালন মল্লিকের স্ত্রী আনজেরা খাতুন (৬৫) ও লালন মল্লিকের মেয়ে মক্কেল আলীর স্ত্রী আঙ্গুরী খাতুন (৪০)।

স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় মারা যান লালন মল্লিকের স্ত্রী আনজেরা খাতুন। শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় গোবিন্দগুনিয়া কবরস্থানে তাকে জানাযা শেষে দাফন করা হয়। এদিকে মায়ের মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মেয়ে আঙ্গুরী খাতুন। নিজ বাড়িতে গিয়ে এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে বেলা ১১টার দিকে তিনি মারা যান।

এদিকে বড় মেয়ে মিরপুর পৌরসভার নওয়াপাড়া এলাকায় স্বামীর বাড়িতে মারা গেছেন। এ খবর শুনে নিজ বাড়িতেই বেলা সাড়ে ১১টায় মারা যান লালন মল্লিক। মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে মা, মেয়ে ও বাবার এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।

শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় গোবিন্দগুনিয়া কবরস্থানে দাফন করা হয় লালন মল্লিকের স্ত্রী আনজেরা খাতুনকে, দুপুর ২টায় পৌরসভার নওয়াপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয় তার মেয়ে আঙ্গুরী খাতুনকে এবং বিকেল ৫টায় গোবিন্দগুনিয়া কবরস্থানে দাফন করা লালন মল্লিককে।

ধুবাইল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, এটা খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে হার্টের অসুখে ভুগছিলেন আনজেরা খাতুন। শুক্রবার রাতে মারা যান তিনি। সকাল ৯টায় তাকে আমরা দাফন করি। বেলা ১১টায় জানতে পারি তার মেয়ে আঙ্গুরী খাতুন মারা গেছে। কিছুক্ষণ পরেই জানতে পারি যে স্ত্রী ও মেয়ের শোকে নিজ বাড়িতে মারা গেছেন লালন মল্লিক।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।