ঢাকা: সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ হাই কমিশনের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
শনিবার (১৫ আগস্ট) সেখানে আয়োজিত কর্মসূচির শুরুতে সিঙ্গাপুর প্রবাসী বাংলাদেশি, হাই কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকদের বুলেটে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। তারপর শহীদদের আত্মার শান্তি ও দেশের সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বঙ্গবন্ধুর জীবন, রাজনৈতিক সংগ্রাম ও সরকারের কার্যক্রমের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ও দর্শনের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভার শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। আলোচনা সভায় সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনারসহ বিভিন্ন বাংলাদেশী সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।
হাই কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান তার বক্তৃতায় বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে খুনিরা এদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত করতে চেয়েছিল, কিন্তু তাদের সে চেষ্টা সফল হয়নি। ’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মূল্যবোধ এবং প্রজ্ঞা যুগ হতে যুগান্তরে বাঙালি জাতিকে অনুপ্রাণিত করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে যে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে তা বঙ্গবন্ধুর শান্তি ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। ’
তিনি বঙ্গবন্ধুর ত্যাগী ও সংগ্রামী জীবনাদর্শ থেকে শিক্ষা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেশের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমে সক্রিয় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২০
টিআর/এফএম