ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ডিজিএফআই পরিচয় দেওয়া প্রতারক গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২০
ডিজিএফআই পরিচয় দেওয়া প্রতারক গ্রেফতার

ঢাকা: মিরপুরের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে গোয়েন্দা সংস্থার পরিচয় দেওয়া এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে মিরপুর থানা পুলিশ। সেনাবাহিনীর গোয়ন্দা সংস্থা ডিজিএফআই-এর সহকারী পরিচালক পরিচয় দিয়ে কর্মকর্তাদের বদলি বাণিজ্য করতেন মো. শাহিনুল ইসলাম নামে এ প্রতারক।



মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপির মিরপুর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মঈনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।

তিনি বলেন, মিরপুরের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের দেওয়া এক অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে সোমবার (১০ আগস্ট) গ্রেফতার করে মিরপুর থানায় নিয়ে আসা হয়।

ঘটনার বিষয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রতারক শাহিনুল ইসলাম গত ১৬ জুন শিক্ষা অধিদফতরে গিয়ে নিজেকে ডিজিএফআই-এর সহকারী পরিচালক পরিচয় দিয়ে বদলির তদবির করেন। সেখানে একটি চিরকুটও উপস্থাপন করেন তিনি। এরপর তদবির করতে রাজি না হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর পরিচালককে (প্রশাসন) বিভিন্ন সময়ে মোবাইল ফোনে কল করে জোরাজুরি করতেন।  

এতে প্রশাসন তাকে এসব তদবির নিয়ে ফোন দিতে না করেন। এরপরও গত ১০ আগস্ট এই প্রতারক একই তদবির নিয়ে আবারও পরিচালকের (প্রশাসন) অফিসে যান এবং নিজেকে ডিজিএফআই পরিচয় দেন। এতে অধিদফতের পরিচালক তার আইডিকার্ড দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি।  

তিনি বলেন, খোঁজ-খবর নিয়া জানা যায়, শাহিনুল ইসলাম নামে গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই-এ সহকারী পরিচালক পদে কেউ নেই। পরে তাকে ওই অফধিদফতর থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এসময় তার হেফাজত থেকে বদলির তদবিরের চিরকুট, জাতীয় পরিচয়পত্র, একটি স্যামসাং মোবাইল সেট, বদলি সংক্রান্ত আবেদনপত্র জব্দ করা হয়।

এসি মামুন মোস্তফা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার শাহিনুল জানান, তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট। ২০০৮ সালে র‌্যাব-১২ থেকে অবসর নেন। এ বিষয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর পরিচালক (প্রশাসন) মো. মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রতারক শাহিনুল ইসলাম আমার কাছে একটি তদবির নিয়ে এসেছিলেন। তবে অধিদফতরে অন্যান্য দফতরে তিনি এমন তদবির নিয়ে প্রায়ই যেতেন। বদলির তদবির নিয়ে আমাকে বশে কিছুদিন যাবৎ জোরাজুরি করছিলেন। পরে ১০ আগস্ট অফিসে এলে তাকে চ্যালেঞ্জ করা হলে তার প্রতারণা সামনে আসে।

‘এই প্রতারক সচিবালয়ের অনেক সেক্রেটারির নাম ও মোবাইল নম্বর সঙ্গে রাখতেন। সচিবালয়ে খোঁজ-খবর করে জানতে পেরেছি, এর আগেও তিনি সচিবালয়ে ডিজিএফআই পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে তিন মাস কারাগারে ছিলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে একই কাজ শুরু করেন। মূলত তিনি একজন চিহ্নিত প্রতারক। তার বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২০
এসজেএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad