ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ভাদ্র মাসের বন্যা নিয়ে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২০
ভাদ্র মাসের বন্যা নিয়ে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: দেশে কয়েক দফা বন্যার মধ্যে আষাঢ়-শ্রাবণ শেষে ফের ভাদ্র মাসে বন্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থেকে প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


 
প্রধানমন্ত্রী ধান-চালের ঘাটতি এড়াতে রোপা আমনের দিকেও বিশেষ দৃষ্টি দিতে বলেছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
 
সোমবার (১০ আগস্ট) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে একথা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এরআগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভায় অংশ নেন। সচিবালয় প্রান্ত থেকে ছয়জন মন্ত্রী সংযুক্ত ছিলেন।  
 
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আজ মন্ত্রিসভা বৈঠকে বন্যা ও পুনর্বাসন কর্মসূচি নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। গত কয়েকদিন থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। আজ যমুনা নদীর পানি বঙ্গবন্ধু ব্রিজের ওখানে পানি অলরেডি বিপৎসীমার বেশ নিচে চলে গেছে।
 
পদ্মা নদীর পানির স্তর ও পানির গতি কমে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভারতের আবহাওয়া বিভাগের প্রেডিকশন আছে যে আপে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী পার্টিকুলারলি এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন প্রস্তুত থাকতে হবে যাতে একটা লং টার্ম বন্যা....। এই যে পানিটা যাচ্ছে, এটাও ১৮/২০ দিন হয়ে গেছে। ১৮/২০ দিন পর পানিটা অনেকটা নিচে নেমে যাচ্ছে।
 
‘যেটা উনি বিশেষ করে সতর্ক করলেন, ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি যদি কোনো বন্যা আসে তাহলে সেটা কিন্তু লং টাইমে, এটা প্রিভেইল করার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং, আমাদের প্রস্তুতিটা ওইখানে রাখতে হবে। ’
 
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আমাদের পুনর্বাসন কার্যক্রম, বিশেষ করে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের আন্ডারে কিছু প্রোগ্রাম রয়েছে, একটা প্রোজেক্ট রয়েছে। সেই প্রোজেক্টে তিনটি কম্পোনেন্টে ইমপ্লিমেন্ট করার কথা রয়েছে। একটা হলো ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ঘরবাড়ি রিহ্যাবিলেটেশন করবে।
 
‘আরেকটা হলো স্থানীয় সরকার তাদের ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামত করবে, পানি উন্নয়ন বোর্ডকেও সেখানে ইনক্লুড করা রয়েছে। সেখানে একটা বড় টাকা ধরা আছে, যদি কোথাও নদীর বাঁধ ভেঙে যায় ওটাকে তাড়াতাড়ি মেরামত করার জন্য। সেই বিষয়ে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। ’
 
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য আলাদা ম্যাসিভ এগ্রিকালচারাল রিহ্যাবিলেটেশন প্রোগ্রাম রয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব দিয়েছেন যে আমনের বীজ যেহেতু নষ্ট হয়ে গেছে, এজন্য একটু উঁচু জায়গায় করার জন্য। বিশেষ করে পানি সহিষ্ণু ভ্যারাইটি। কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বলছেন তারা যে নতুন জাত আবিষ্কার করেছেন সেটা ১৫ দিন পানি নিচে থাকলে নষ্ট হবে না।
 
‘আরেকটি জিনিস প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রোপা আমনের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে, রোপা আমন ঠিকভাবে হলে আমাদের সর্টেজ হওয়ার সম্ভাবনা কমবে। ’
 
তিনি বলেন, সর্টেজ একচুয়ালি হবে না গতবারের তুলনায়। গতবার আমনে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮ লাখ টন, এবার লক্ষ্যমাত্রা ৩৬ লাখ টন। সেই তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে, তবে গতবারের তুলনায় উৎপাদন আশা করা যাচ্ছে বেশি হবে, ইনশাআল্লাহ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২০
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।