ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাঁধ-নদী-খালপাড়ে ১০ লাখ গাছের চারা রোপণের সিদ্ধান্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২০
বাঁধ-নদী-খালপাড়ে ১০ লাখ গাছের চারা রোপণের সিদ্ধান্ত

ঢাকা: পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন দেশের প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার উপকূলীয় এলাকার নদী-খালপাড় ছাড়াও বাঁধ ও অন্য ফাঁকা জায়গায় ১০ লাখ গাছের চারা রোপণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।  

তিনি বলেন, এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে একটি সামাজিক আন্দোলনে রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।



সোমবার (১০ আগস্ট) পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার প্রমুখ।  

এদিকে মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে সারাদেশে এক কোটি গাছের চারা রোপণের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে এই কার্যক্রম হাতে নিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী গত ১৬ জুলাই ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ২০২০’ উদ্বোধন করে দেশে মোট বনভূমির পরিমাণ ২৫ শতাংশে উন্নীত করার নির্দেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশে যাতে বনায়ন ও সবুজ বেষ্টনীর সৃষ্টি হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এক কোটি গাছের চারা রোপণের কার্যক্রম গৃহীত হয়েছে। এই বৃক্ষরোপণের ফলে একদিকে যেমন দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে, অন্যদিকে দেশের জনগণের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা মেটাতেও সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

‘প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন প্রতিপালনের লক্ষ্যে মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে এর অধীনস্ত দফতর ও সংস্থার অফিস প্রাঙ্গণ, আওতাধীন জমি, বিশেষত বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের নদী-খালপাড় ছাড়াও বাঁধ ও অন্য ফাঁকা জায়গাগুলোতে বনজ, ফলজ ও ভেষজ গাছ রোপণের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।  

জাহিদ ফারুক বলেন, রোপণ করা এসব গাছের সঠিক পরিচর্যার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তা ও অধীন সংস্থার কর্মকর্তারা আগামী ১১-১৪ আগস্ট এবং ২৭-৩০ আগস্টে দু’ধাপে দেশের সব জেলার বৃক্ষরোপণ কাজ তদারকি করবেন।  

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশে ভূমিক্ষয় রোধ ও স্থায়ীত্ব রক্ষার্থে বৃক্ষরোপণের অবদান অনস্বীকার্য। একটি গাছ সারাজীবন কমপক্ষে আড়াই লাখ  টাকার ভূমিক্ষয় রোধ করে। পরিবেশ সংরক্ষণে গাছের ভূমিকা অত্যন্ত বলিষ্ঠ। মেরু অঞ্চলের বরফ গলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। আর এতে সবচেয়ে বেশি হুমকিতে রয়েছে বাংলাদেশের উপকূল।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২০
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।