ঢাকা: ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় অবৈধ ক্যাবল সংযোগ উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
বুধবার (৫ আগস্ট) কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিনে ধানমন্ডির মিরপুর রোডের সিটি কলেজ থেকে ল্যাবএইড হাসপাতাল, জিগাতলা বাসস্ট্যান্ডের আশপাশের এলাকায় এবং নগর ভবনের চারপাশে এই উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে ধানমন্ডির ২ থেকে ৪ নম্বর রোড ও জিগাতলা এলাকায়, সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে সকালে বঙ্গবাজার ট্রাফিক সিগন্যাল থেকে নগর ভবন হয়ে গুলিস্তান এবং ফুলবাড়িয়া মার্কেট এলাকায় এই উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সন্ধ্যা পৌনে ৫টায় উভয় ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রথম দিনের কার্যক্রম শেষ করে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে জানিয়ে বলেন, ডিএসসিসির মেয়রের নির্দেশনার আলোকে ও ‘ক্যাবল টেলিভিশন পরিচালনা আইন, ২০০৬’ মোতাবেক ডিএসসিসি এলাকায় অবৈধ ক্যাবল সংযোগের বিরুদ্ধে আমাদের কার্যক্রম চলছে। এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জিগাতলা থেকে আমরা পরবর্তী দিনের কার্যক্রম শুরু করবো।
করপোরেশনের আরেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ফুলবাড়িয়া মার্কেট থেকে পরবর্তী দিনের কার্যক্রম শুরু করে পার্শ্ববর্তী বঙ্গবাজার, আনন্দবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।
ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ২৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী, সেবাদানকারী ক্যাবল সংযোগের কাজে কোনো সরকারি, আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার স্থানীয় কার্যালয়ের লিখিত অনুমোদন ছাড়া কোনো স্থাপনা ব্যবহার বা সুবিধা নিতে পারবে না।
আইনের উপ-ধারা ২৮ (২) অনুসারে, যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তা হলে তিনি অনধিক দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক এক লাখ টাকা কিন্তু অন্যূন ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং অপরাধ পুনরাবৃত্তির ক্ষেত্রে তিনি অনধিক তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০২০
এসএইচএস/এএ
.jpg)
