ঢাকা: কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনা তদন্তে আরো উচ্চতর পর্যায়ের চার সদস্যের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, তদন্তের আরো ব্যাপক পরিসরে সক্ষমতা এবং কার্যকারিতা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন প্রতিনিধিকে যুক্ত করে উচ্চ পর্যায়ের এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রোববার (২ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শাহে এলিদ মাইনুল আমিন স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় গঠিত এ কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) যুগ্মসচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করে গঠিত চার সদস্যের তদন্ত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন— সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিনিধি (জিওসি, ১০ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, কক্সবাজার এরিয়া কর্তৃক মনোনীত), চট্টগ্রামের উপযুক্ত প্রতিনিধি হিসেবে চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এবং কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. শাজাহান আলি।
চিঠিতে বলা হয়, বর্ণিত কমিটি উল্লিখিত ঘটনার বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক ঘটনার কারন, উৎস, ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় ইত্যাদি সার্বিক বিষয় বিশ্লেষণ পূর্বক সুস্পষ্ট মতামতসহ পত্র প্রাপ্তির সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।
এর আগে এ ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়। শনিবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রট মো. শাজাহান আলীকে আহ্বায়ক এবং কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন, ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডারের এক প্রতিনিধিকে সদস্য করে ওই কমিটি গঠন করা হয়।
পুলিশের ভাষ্য, শুক্রবার (৩১ জুলাই) রাত ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে সিনহা রাশেদ খান নিহত হন।
জেলা পুলিশ জানিয়েছে, এদিন সাবেক ওই সেনা কর্মকর্তা ব্যক্তিগত গাড়িতে করে অপর এক সঙ্গীসহ টেকনাফ থেকে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন। মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশ গাড়িটি থামিয়ে তল্লাশি করতে চাইলে সেনা কর্মকর্তা বাধা দেন। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে সেনা কর্মকর্তা তার কাছে থাকা পিস্তল বের করলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান গুরুতর আহত হন। পরে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২০
পিএম/এমজেএফ