ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চট্টগ্রাম, মুন্সিগঞ্জ, চাঁদপুর ও লক্ষীপুরের অনেক গ্রামে আজ ঈদ

রমেন দাশগুপ্ত, ফারহানা মির্জা, জিএম শাহীন, সাইফুল ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১০
চট্টগ্রাম, মুন্সিগঞ্জ, চাঁদপুর ও লক্ষীপুরের অনেক গ্রামে আজ ঈদ

ঢাকা: দেশের বিভিন্ন জেলার অনেক গ্রামে আজ উদযাপন হচ্ছে। সৌদিআরবের সঙ্গে মিল রেখে এসব গ্রামের প্রায় দুই হাজার পরিবারের মানুষ ঈদের আনন্দে মেতে উঠেছেন।

দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতটি উপজেলার ৩০টি গ্রামে, চাঁদপুরের ৫০, মুন্সিগঞ্জের ১৩টি লক্ষীপুরের ৫টি গ্রামে এ ঈদ উদযাপন চলছে।

চট্টগ্রাম: একদিন আগে ঈদুল ফিতর উদযাপনকারীদের অধিকাংশই চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার সিলসিলিয়া আলীয়া জাহাগীর পীর দরবার শরীফের অনুসারী।

যেসব গ্রামে ঈদ পালিত হচ্ছে সেগুলো হলো- সাতকানিয়া উপজেলার মীর্জারখীল, চরতি, সুইপুর, ঘাসিয়াডাঙ্গা, কেরাণীহাট পটিয়া উপজেলার কালারপোল, হাইদগাঁও, মলপাড়া, বাহুলী, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, গাছবাড়িয়া, হারালা, বাইনজুড়ী, কানাইমাদারি, ঢেমশা, আনোয়ারার তৈলারদ্বীপ, বুরুমছড়া, বারখাইন, সরকারহাট, গহিরা, বারশত, বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ, খরণদ্বীপ, পূর্ব গোমদণ্ডী, পশ্চিম কধুরখীল, বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, পূঁইয়াছড়া ও ডোমার এবং লোহাগাড়ার ধর্মপুর, কলাউজান।

দক্ষিণ চট্টগ্রামে আজ সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সাতকানিয়ার মীর্জারখীল জাহাগীর পীরের দরবার শরীফে। সকালে প্রায় তিন হাজার লোক ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের ১৩ গ্রামে  ঈদুল ফিতর উদযাপন হচ্ছে। সদর উপজেলার আধারা, বেহেরকান্দি, মিজি কান্দি, মুন্সিকান্দি, আনন্দপুর, শিলই, বাঘাইকান্দি, জাজিরার কিছু অংশ, দক্ষিণ চরমুশুরার কিছু অংশ, আকাল মেঘ রাকের কান্দি গ্রামের ২ হাজার পরিবার সাতকানিয়া দরবার শরিফের অনুসারীরা আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় ঈদুল ফিতরের জামাত আদায় করেন।

চাঁদপুর ও লক্ষীপুর: চাঁদপুরের পাঁচ উপজেলার অর্ধশত এবং লক্ষীপুরের পাঁচটি গ্রামে আজ শুক্রবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। প্রায় শত বছর ধরে এসব গ্রামের মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রোজা ও ঈদ পালন করেন।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলীপুর, বলাখাল, মনিহার, ভোলাচোঁ, জাকনি, সোনাচোঁ, প্রতাপপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার উভারামপুর, উটতলী, মুন্সিরহাট, মূলপাড়া, বদরপর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচর, বালুথুবা, কাইতাপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, ষোলা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলবের দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী ও শাহরাস্তি এবং কচুয়া উপজেলার কয়েকটি গ্রামে উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যদিয়ে ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা গ্রামের সাদ্রা হামিদিয়া ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে সবচেয়ে বড় জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে লক্ষীপুরের রায়পুর উপজেলার কলাকোপা, চরবংশী মেঘনাবাজার, খাসের হাট, চর আবাবিল, উদমারা গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আজ ঈদ উদযাপন করছে।

কলাকোপা গ্রামের আব্দুল করিম (৮৬) বলেন, ‘পৃথিবী একদিনে সৃষ্টি হয়েছে, তাই ঈদও একই দিনেই হবে। তাছাড়া আমাদের নবী সৌদি আরবের বাসিন্দা তাই আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে রোজা ও ঈদ এক সাথে পালন করি। ’

রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র দাস বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, বহু বছর থেকে এসব গ্রামের মানুষ এভাবে ঈদ পালন করছে। গ্রামবাসীর নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ