ঢাকা: সরকারি চাকুরে হওয়া সত্ত্বেও আড়াই ডজন কর্মকর্তা এবার ঈদে বেতন-বোনাস পাননি। এ সব কর্মকর্তাকে পরবর্তী পদায়নের জন্য সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত রাখা হয়েছে।
বাংলানিউজের অনুসন্ধানে স্পর্শকাতর এই বিষয়টি বেরিয়ে আসলেও বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন-সচিব (এপিডি) মো. সোহরাব হোসাইন।
বাংলানিউজকে তিনি জানিয়েছেন, তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই।
তিনি জানান, এ ধরনের কর্মকর্তার সংখ্যা খুবই কম- ১০/১২ জন হবে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। এরকম থাকবেই।
এই প্রতিবেদক এ ধরনের কর্মকর্তার যে সংখ্যা উল্লেখ করেন সেটাও সঠিক নয় বলে তিনি জানান, কারো বেতন ভাতা আটকে নেই। বিষয়টি তিনি পরীক্ষা করে দেখেছেন।
তিনি বলেন, ‘সাধারণত কেউ বেতন ভাতা না পাক এটা আমরা কেউই চাইনা, সরকারতো নয়ই। যখনই এধরনের বিষয় চোখে পড়ে প্রয়োজনে তাকে ওএসডি করে দিই। যাতে বেতন ভাতা পায়। আবার অনেক সময় ওএসডি করতে চাইনা। কারণ ওএসডির সংখ্যা বেড়ে গেলে প্রশাসনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ’
সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত কোনো কর্মকর্তাকে ওএসডি করার সুপারিশ করতে কেউ এসেছিলেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ন্যস্ত করার কারণে কেউ বেতন ভাতা পায়নি এমন সমস্যা এখনো আমার কাছে আসেনি। এ ধরনের কোনো সমস্যা পাওয়া গেলে তার বেতন-ভাতার ব্যবস্থা করে দেই। কারণ বেতনটা বেসিক ব্যাপার। ’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সচিব থেকে সহকারী সচিব পদমর্যাদার ৩০ কর্মকর্তাকে পরবর্তী পদায়নের নামে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে একজন করে সচিব ও যুগ্ম সচিব, পাঁচজন উপ-সচিব, ১৯ জন সিনিয়র সহকারী সচিব ও চারজন সহকারী সচিব। অধিকাংশ কর্মকর্তা ছয় মাসেও কোনো পোস্টিং পাননি।
দীর্ঘদিন বেতন-ভাতা না পেয়ে অনেকে বাসা ভাড়াসহ সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। যাদের চাকরি ছাড়া আর কোনো আয়-রোজগার নেই তারা পড়েছেন চরম সংকটে।
বর্তমান সরকারের সময়ে সর্বোচ্চ ৬৭ জন কর্মকর্তাকে পরবর্তী পদায়নের জন্য মাসের পর মাস সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত রাখা হয়। যাদের কেউ কেউ এক বছরেও পোস্টিং পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময় ১১৪২ ঘণ্টা, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১০