সাভার: আশুলিয়ার কুটুরিয়া এলাকার মানতাকায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আগুনে প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ কারখানায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আগুন নেভাতে গিয়ে সাত দমকল কর্মী আহত হন।
রাত আড়াইটার দিকে আকস্মিক বিস্ফোরণে ঘুম ভেঙ্গে যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের। বিকট শব্দে এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
দমকল বাহিনীর ঢাকা ইপিজেড, সাভার, ধামরাই, ঢাকা সদরদপ্তর ও মিরপুর ইউনিটের প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে । এ সময় ঢাকা ইপিজেডের জ্যেষ্ঠ স্টেশন ম্যানেজার আকতারুজ্জামান, ইব্রাহিম খলিল, সুভ্রদেব সরকার, রুবেল উজ্জামান, ইমদাদুল হক, শহিদুল্লাহ, শরিফুল হক আহত হন।
ঢাকা ইপিজেডের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার আকতারুজ্জামান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকায় অন্য ইউনিটগুলোও আমাদের সঙ্গে যোগ দেয়। ’
অগ্নিকাণ্ডে কারণ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানাতে পারেননি।
প্রত্যদর্শিরা জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় ওই কারখানার কর্মী ছিল না। কারখানার রাসায়নিক ড্রামের বিস্ফোরিত হয়ে তা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে পাশ্ববর্তী এলাকায়।
কারখানার পরিচালক মাহফুজা বেগম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, কারখানার বিভিন্ন রাসায়নিক ও কাঁচামালের গুদামের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ও প্রজেক্ট লোন হিসেবে কারখানার বিপরীতে জনতা ব্যাংকের বৈদেশিক শাখা থেকে ১৪ কোটির টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছিলো।
ক্ষতির পরিমাণ তিন কোটি টাকার বেশি বলে জানান তিনি।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক শাহীন শাহ পারভেজ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও জানান, ঘটনার সময় কারখানার নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী এমনকি ব্যাংকের নিরাপত্তা সদস্যরা সেখানে ছিলেন না।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১০