নিজের সুরক্ষার কথা চিন্তা না করে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তিনি গাংনী শহরের প্রতিটি এলাকায় ঘুরছেন। রয়েছেন খেটে খাওয়া মানুষের পাশে।
কোথাও ৪/৫ জনকে এক সঙ্গে দেখলেই ছুটে যাচ্ছেন তাদের কাছে এবং সবাইকে বাসায় থাকার উপদেশ দিচ্ছেন। এ শহরের প্রায় আড়াই শতাধিক রিকশা-ভ্যান, ইজিবাইক ও আলগামন চালক রয়েছেন। যারা দিন আনে দিন খায়। তাদের তালিকা তৈরি করে ব্যক্তিগতভাবে এবং পৌরসভার পক্ষ থেকেও নিয়মিত ত্রাণ দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিজ উদ্যোগে কিনে দিচ্ছেন মাস্ক।
মেয়র আশরাফুল ইসলাম পৌরবাসীকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, সুস্থ থাকেন ভালো থাকেন। নিজেকে, পরিবারকে ও সমাজকে বাঁচাতে ঘরে থাকুন।
এদিকে পৌর এলাকাকে করোনার থাবা থেকে রক্ষা করতে ইতোমধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। পৌরসভার সব ওয়ার্ডের প্রবাস ফেরতদের তালিকা তৈরি করা ও তাদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা। পুরো শহরব্যাপী বিনামূল্যে মাস্ক ও সাবান বিতরণ করা হয়েছে। বাজারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্প্রে মেসিনে করে ব্লিচিং পাউডার স্প্রে এবং পৌরসভার ট্রাকে পাম্প মেসিন বসিয়ে পুরো শহরব্যাপী প্রতিদিন জীবণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।
মেয়র আশরাফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রতিদিনই নিরলসভাবে কাজ করছেন পৌর স্টাফ, কর্মকর্তাসহ ঝাড়ুদার।
ইতোমধ্যে পৌর এলাকার একেবারেই খেটে খাওয়া মানুষগুলো, যেমন, চা বিক্রেতা, রিকসা, ভ্যান, ইজিবাইক চালকসহ ছোট ছোট দোকানিরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। আমি মেয়র হিসেবে তাদের তালিকা তৈরি করে নিয়মিত খাদ্যসামগ্রীসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে এবং সরকারিভাবে প্রাপ্ত খাদ্য সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছি। এসময় তিনি অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিত্তবান ও বড় বড় ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২০
আরএ