রোববার (৫ এপ্রিল) সকালে গণভবনে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব ও উত্তরণের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে সময়মত ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ায় আল্লাহর রহমতে এখনো আমাদের এখানে ব্যাপক সংক্রমণ ঘটেনি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পৃথক পৃথক কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ’
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, ভাইরাসসহ সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণ করে National Preparedness and Response Plan for COVID-19, Bangladesh প্রণয়ন করা হয়েছে।
পরিকল্পনার আওতায় তিন-স্তর বিশিষ্ট কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়:
১. বিদেশ হতে আগত ব্যক্তিদের মাধ্যমে যেন ভাইরাস না ছড়ায় সেজন্য বিদেশে গমন এবং বিদেশ থেকে আগমন নিরুৎসাহিত করা;
২. দেশের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তির আগমন ঘটলে দ্রæত সনাক্তকরণ এবং এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে ভাইরাসের বিস্তার রোধ;
৩. চিহ্নিত আক্রান্ত ও অসুস্থ ব্যক্তিদের দ্রæত পৃথক করে যথাযথ চিকিৎসা প্রদান।
গত জানুয়ারি থেকেই এই তিন স্তরের কার্যক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয় বলে জানান তিনি। গত ২৬ মার্চ থেকে ১৭ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২০
এমইউএম/ওএইচ/