শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মণিরামপুর পৌর এলাকার বিজয়রামপুরের ভাই ভাই রাইচ মিলের গুদাম থেকে পুলিশের সহায়তায় এ চাল উদ্ধার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান উল্লাহ শরিফী। পরে রাইচ মিলের মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ট্রাক ভর্তি চাল থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার বিকেলে উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে চাল ট্রাক ভর্তি করে নিজের মিলের গুদামে নিয়ে যাচ্ছিলেন মামুন। এ সময় ট্রাকসহ চাল জব্দ করা হয়।
আটক রাইচ মিলের মালিক মামুন দাবি, ৩০ টাকা দরে ৩৭ মেট্রিক টন কাবিখার (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) চাল খাদ্য গুদাম থেকে আমরা তিনজনে কিনেছি। আমার সঙ্গে মণিরামপুর রাইচ মিল (চাতাল) মালিক সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও জগদীশ নামে অপর ব্যবসায়ী রয়েছেন। শনিবার খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফোন দিয়ে গুদাম থেকে চাল সরাতে বলেন। আমি ট্রাকে করে ৩০ কেজির ৫৫৫ বস্তা (১৬ মেট্রিক টন) চাল তুলে আমার গোডাউনে আনছিলাম। তখন পুলিশ এসে চাল আটক করে।
এ বিষয়ে মণিরামপুর উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মনিরুজ্জামান মুন্নার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, চাল ভর্তি ট্রাকসহ রাইচ মিলের মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে হেফাজতে নিয়েছি। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান উল্লাহ শরিফী বাংলানিউজ বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের মামলার পাশাপাশি, উপজেলা প্রশাসন আলাদা একটি তদন্ত করবে। এ ঘটনায় জড়িতরা কেউ ছাড় পাবেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২০
ইউজি/আরআইএস/