ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

সুন্দরগঞ্জে পুলিশ হত্যা দিবস পালিত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
সুন্দরগঞ্জে পুলিশ হত্যা দিবস পালিত

গাইবান্ধা: দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের ট্র্যাজেডি ও চার পুলিশ হত্যার ৭ বছর পূর্ণ হলো শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি)। কিন্তু আজও শেষ হয়নি এ হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম। 

শুক্রবার দিনব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গায় পুলিশ হত্যা দিবস পালন করা হয়।  

কর্মসূচির মধ্যে ছিল বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কোরআন খানি, দোয়া মাহফিল, তবারক বিতরণ, নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে সংবর্ধনা ও স্মরণ সভা।

সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহিল জামানের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন- জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আউয়াল, বামনডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা, সুন্দরগঞ্জ ডি ডাবলু সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হাবিব সরকার, প্রেসক্লাব সভাপতি রশিদুল আলম চাঁদ, সুন্দরগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসানুল করিম চাঁদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল আলম, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল মান্নান মণ্ডল, সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) তাজুল ইসলাম, বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শমস উদ্দিন বাবু প্রমুখ। পরে নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে সংবর্ধনা ও উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়।  

প্রসঙ্গত, গত ২০১৩ সালে এই দিনে (২৮ ফেব্রুয়ারি) মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সুন্দরগঞ্জে হরতাল ডাকা হয়েছিল। সকাল থেকে উপজেলার কঞ্চিবাড়ি, বেলকা, দহবন্দ, হরিপুর, বামনডাঙ্গা, সর্বানন্দ, রামজীবন ও ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী ও সাঈদী অনুসারীরা।  

দুপুরে সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর পরই সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় শুরু হয় জামায়াত-শিবির ও সাঈদী অনুসারীদের নারকীয় তাণ্ডব। তারা উপরে ফেলে বামনডাঙ্গা রেল স্টেশনের রেল লাইন, অগ্নিসংযোগ করে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কার্যালয় ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়। এরপর তারা বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। একপর্যায়ে সেখানে থাকা চার পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।  

গাইবান্ধা জেলা দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, আইনি প্রক্রিয়ার কারণে মামলার বিচার কাজ শুরু হতে দেরি হয়েছে। বর্তমানে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। দ্রুত বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে এ বছরের মধ্যেই মামলাটির রায় হবে।  

সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল্লাহিল জামান বাংলানিউজকে জানান, এ মামলার চার্জশিটভুক্ত ৩৩৫ আসামির মধ্যে এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। বাকি ৩৩৪ আসামির মধ্যে এ পর্যন্ত ২২৯ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হলেও তারা বর্তমানে জামিনে আছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।