ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আরিচা-কাজিরহাট রুটে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ স্পিডবোট

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০
আরিচা-কাজিরহাট রুটে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ স্পিডবোট

মানিকগঞ্জ: সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে অবৈধভাবে প্রায় শতাধিক স্পিডবোট প্রতিনিয়ত চলাচল করছে। এরমধ্যে অনেক বোটের সরকারি অনুমতি কিংবা মেরিন বিভাগের ফিটনেস সনদ নেই। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যমুনা নদীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব স্পিডবোট।

আরিচা ঘাট থেকে পাবনার কাজিরহাটের দূরত্ব নদী পথে ৮-১০ কিলোমিটার। আর এ দীর্ঘ নৌপথ লঞ্চে পাড়ি দিতে সময় লাগে প্রায় দেড় ঘণ্টা, যেখানে স্পিডেবোটে সময় লাগে ৩০-৩৫ মিনিট।

সুযোগটি কাজে লাগিয়ে যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তোলা হচ্ছে স্পিডবোটে। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের কোনো নিয়ম তোয়াক্কা না করে বোটের নির্ধারিত আসনের চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে পাড়ি দিচ্ছে যমুনা নদী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে লঞ্চের পাশাপাশি দ্রুতগামী স্পিডবোট চলাচল করছে প্রতিনিয়ত। লঞ্চ পারাপারে সময় বেশি লাগায় যাত্রীরা দ্রুত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে স্পিডবোটে করে যমুনা পার হচ্ছেন। বর্তমানে আরিচা অংশে ৪৭টি স্পিডবোট এবং পাবনার কাজিরহাট অংশে রয়েছে ৬০টি স্পিডবোট যার অধিকাংশেরই মেরিন বিভাগের ফিটনেস নেই। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ’র রোড পারমিট না থাকলেও অজ্ঞাত কারণে এসব অবৈধ নৌযান দাপিয়ে বেড়াচ্ছে যমুনা নদীর বুকে। এদিকে অধিকাংশ বোটে জীবন রক্ষাকারী বয়া কিংবা লাইফজ্যাকেট নেই। এসব জেনেও যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে যমুনা নদী।

আরিচা ঘাট স্পিডবোট মালিক সমিতির ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম বাবু বাংলানিউজকে বলেন, আরিচা ঘাটের ৪৭টি স্পিডবোটের নামকরণ বা মেরিন বিভাগের ফিটনেস সনদ নেই। ২৫টির মতো স্পিডবোট ফিটনেস সনদ আছে। এছাড়া আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটের রোড পারমিটের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছি হয়তো কিছুদিনের মধ্যে হয়ে যাবে।

পাবনার কাজিরহাট ঘাটের স্পিডবোট মালিক সমিতির ম্যানেজার নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘মাঝে মাঝে ডিজি শিপিং এবং বিআইডব্লিউটিএ’র স্যারেরা আইসা নামকরণ, ফিটনেস এবং রোড পারমিটের কথা বলে যায় আমি মহাজনদের বলি কিন্তু তারা না করলে আমরা কি করবার পারি বলেন। ’

অবৈধভাবে চলাচল করছে স্পিডবোট: ছবি: বাংলানিউজ

ডিজি শিপিং’র আরিচা কার্যালয়ের ইন্সপেক্টর এসএম আশিকুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে প্রায় শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করে যার অধিকাংশ বোটের নামকরণ বা মেরিন বিভাগের ফিটনেস নেই। আমি নিজে গিয়ে একাধিক বার নামকরণ ও ফিটনেস সনদ নেওয়ার জন্য বলেছি তবে তাদের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাইনি। এখন আমাদের বিআইডব্লিউটিএ এবং উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে।

বিআইডব্লিউচিএ আরিচা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) ফরিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে চলাচলের জন্য যে রোড পারমিট প্রয়োজন তা স্পিডবোটের নাই। যেহেতু সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তারা চলাচল করছে তা সম্পূর্ণ অবৈধ। আমি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিতভাবে জানিয়েছি।

শিবালয় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এএফএম ফিরোজ মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, বিআইডব্লিউটিএ ও ডিজি শিপিং আমার কাছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সহায়তা চাইলে আমি তাদের এ বিষয়ে সাহায্য করবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।