ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভারতের অনাপত্তি: কাঠমান্ডুর সঙ্গে সরাসরি বাস চালুর জোর প্রস্তুতি ঢাকায়

আনোয়ারুল করিম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১০
ভারতের অনাপত্তি: কাঠমান্ডুর সঙ্গে সরাসরি বাস চালুর জোর প্রস্তুতি ঢাকায়

ঢাকা: আসছে জানুয়ারি থেকেই নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু ও ঢাকার মধ্যে সরাসরি বাস সার্ভিস চালু করতে চায় বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে যোগাযোগ, পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।



পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, কাঠমান্ডুর সঙ্গে ঢাকার সরাসরি বাস সার্ভিস চালুর জন্য ভারত সরকার এরই মধ্যেই বাংলাদেশকে অনাপত্তি ( ‘নো অবজেকশন’ ) সনদ দিয়েছে।

যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও রেলপথ বিভাগের সচিব মোজাম্মেল হক খান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে বাস চালুর জন্য কর্মপদ্ধতি (মডালিটিজ) নির্ধারণ করছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। ’

কখন, কোথা থেকে বাস ছাড়বে, যাত্রীভাড়া কতো হবে, কে পরিচালনা করবে, ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস কিভাবে কাজ করবে ইত্যাদি বিষয় কর্মপদ্ধতির মধ্যে রয়েছে বলেও জানান তিনি।  

কর্মপদ্ধতি নির্ধারণকারী এক কর্মকর্তা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘ঢাকা-কলকাতা ও ঢাকা-আগরতলা সরাসরি বাস সার্ভিসের কয়েকটি শর্ত ও নিয়ম এ রুটেও মেনে চলা হবে। ’

তিনি বলেন, ‘বাস চলাচলের জন্য বাংলাদেশের লালমনিরহাট সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ১২/এ স্টেট হাইওয়ে ধরে শিলিগুড়ি শহরের পাশ দিয়ে নেপালের কাকরভিটা হয়ে কাঠমান্ডু যাওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে ঢাকা ও কাঠমান্ডুর মধ্যে সড়ক পথের দূরত্ব দাঁড়াবে প্রায় ৬৭৫ কিলোমিটার।

বাস পরিসেবা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘ঢাকা-কাঠমান্ডু সরাসরি বাস সার্ভিস চালুর বিষয়ে আগামী নভেম্বরে একটি চূড়ান্ত চুক্তি  সই হবে। নতুন বছরের শুরুতেই এ  সার্ভিস চালু হয়ে যাবে বলে আশা করছি। ’  

তবে চূড়ান্ত চুক্তি সইয়ের আগে এর খুটিনাটি দিক নিয়ে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানায় আরেকটি এক সূত্র।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ১৯৭৬ সালে সাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী উভয় দেশ পরস্পরের মধ্যে যাত্রীবাহী ও মালবাহী বাস-ট্রেন চলাচলের সুযোগ পাবে। তবে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহারের জটিলতায় বিষয়টি এতোদিন আটকে ছিল।

গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লি সফরে গিয়ে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সেড়ক যোগাযোগ স্থাপনে  ভারতের করিডোর ব্যবহার করতে দেওয়ার অনুরোধ করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত আগস্টে ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির ঢাকা সফরকালে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।