ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

প্রথম দিনের বৈঠকে সার্ক গণতন্ত্র সনদের ৮০ ভাগ চূড়ান্ত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১০
প্রথম দিনের বৈঠকে সার্ক গণতন্ত্র সনদের ৮০ ভাগ চূড়ান্ত

ঢাকা: সার্কভুক্ত দেশের গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে শনিবার ঢাকায় শুরু হয়েছে দু’দিনব্যাপী সার্ক গণতন্ত্র সনদ চূড়ান্ত করার আন্তঃসরকার বৈঠক। প্রথম দিন খসড়া সনদের ৮০ শতাংশ চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মো. মিজারুল কায়েস।



শনিবার রাজধানীর হোটেল শেরাটনে প্রথম দিনের বৈঠক শেষে একথা জানান তিনি।

মিজারুল কায়েস সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা চাইছি সার্কভুক্ত দেশগুলো গণতন্ত্রের ওপর আস্থা রাখুক। তাই এ অঞ্চলের গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে প্রয়োজনীয় পদপে গ্রহণে এ সনদ চূড়ান্ত করা হচ্ছে। ”

শনিবারের বৈঠকে খসড়ার ৮০ শতাংশ চূড়ান্ত হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ বৈঠকের দ্বিতীয় দিন রোববার চূড়ান্ত হবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, ভুটানে অনুষ্ঠিত ১৬তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশকে সার্ক গণতন্ত্র সনদের খসড়া প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ সনদের খসড়া তৈরি করে সদস্য দেশগুলোর কাছে পাঠায়।

মিজারুল কায়েস বলেন, খসড়া সনদ চূড়ান্ত হওয়ার পর আগামী ডিসেম্বরে তা সার্ক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে আলোচিত হবে। ওই বৈঠকেই সনদ চূড়ান্ত রূপ পাবে। এরপর আগামী বছর এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় ১৭তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে সরকার প্রধানরা সনদটিকে গ্রহণ করলে তা কার্যকর হবে।

এ সময় সাংবাদিকদের বিতরণ করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ অঞ্চলে গণতন্ত্রকে গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা হিসাবে মেনে নেওয়ার নীতিগত দিকগুলো বৈঠকে পরীা নিরীা করা হচ্ছে।

এছাড়া সদস্য রাষ্ট্র, জনপ্রতিনিধি এবং জনসাধারণ কীভাবে দণি এশিয়ায় গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক চর্চাকে শক্তিশালী করতে পারে এবং গণতন্ত্রকে ব্যহত করা হলে তা কিভাবে মোকাবেলা করবে তাও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

সার্কভুক্ত কোনো দেশে যদি অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু হয়, তবে সদস্য দেশগুলোর কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা চাপানোর কোনো বিধান এতে থাকবে কি-না প্রশ্নের জবাবে মিজারুল কায়েস বলেন, রাষ্ট্র প্রধানদের সম্মেলনে সনদটি চূড়ান্তভাবে গ্রহণ করার আগে এ বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।

বিধি নিষেধ আরোপের বিষয় বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের বৈঠকে অনেক বিষয়ই আলোচিত হয়। ’

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মিজারুল কায়েস বলেন, ‘এ ধরনের সনদ কোনো চুক্তি নয়। তবে শীর্ষ সম্মেলনে গ্রহণের পর তা কার্যকর হবে। ’

বৈঠকে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদের মধ্যে বাংলাদেশের পস্তাবিত খসড়া সনদের বিষয়ে তেমন কোনো মতপার্থক্য নেই বলেও জানান তিনি।

বৈঠকে সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।