হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ সদর উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জে শনিবার দুপুরে কমপক্ষে ২০ গ্রামের মানুষ ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে পুলিশের এক এএসপিসহ দু’শতাধিক লোক আহত হন।
সংঘর্ষে কারণে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রায় চার ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। উত্তেজিত জনতা শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার দাউদনগর বাজারের প্রায় ২০টি দোকানপাট ভাংচুর করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২ সেপ্টেম্বর টেম্পুতে যাত্রী ওঠানামা নিয়ে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিশাপট ও তালুগড়াই গ্রামের দু’ব্যক্তির সংঘর্ষ হয়। এরই জের ধরে শনিবার সকাল ১০টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জের দেউন্দি মোড়ে নিশাপট, জাকি জাঙ্গাল, মড়ড়া, কাজীরগাঁও, কররা হাটিসহ আরো কয়েকটি গ্রাম এবং তালুগড়াই, মহলুল সুনাম, জগন্নাথপুর, বিরামচর, লেঞ্জাপাড়া, বড়চর, কদমতলী, চর নূর আহমদ ও শ্যামপুরসহ ২০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিললুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমার নেতৃত্বে রিজার্ভ পুলিশ ও শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
এসময় পুলিশ ১৫শ’ রাবার বুলেট এবং শতাধিক কাঁদানে গ্যাস-শেল ছোড়ে। সদর উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক মো. ছালেক মিয়া (৩৫), আইকেন মুণ্ডা (৩৫), কবির মিয়া, গেদাই মিয়া, ইলিয়াছ মিয়া, ছাদেক মিয়াসহ ২০ জন রাবার বুলেটবিদ্ধ হন।
এসময় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর হামলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিললুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা, শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এম এ বাছিত, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাইদুর রহমান, আট পুলিশ সদস্যসহ দুই শতাধিক লোক আহত হন।
আহতদের হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল ও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উত্তেজিত জনতা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিললুর রহমানের গাড়ি ও একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের স্থানীয় প্রতিনিধির মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
সংঘর্ষের সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চার ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলী বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১০